২৪ বছর সৎভাবে কাজ করেও করা হল অপমান, চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল সূর্যকুমারের শৈশবের কোচকে
অসালকর তার চাকরি হারানোর বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকেও লুকিয়ে রেখেছিলেন, এই ভয়ে যে এতে তাদের বাড়িতে অশান্তি হতে পারে।
ভারতীয় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ছোটবেলার কোচ অশোক আসালকারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২৪ বছর ধরে বার্ক মাঠে কোচ ও গ্রাউন্ডসম্যান হিসেবে কাজ করা অসালকরকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আচমকাই বরখাস্ত করা হয়। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা রোজগারের জন্য বর্তমানে ইনডোর টার্ফে কোচিং করাচ্ছেন তিনি। খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন সূর্যকুমার যাদব তার ক্রিকেট কেরিয়ারের শীর্ষে রয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার পরিবর্তে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
৬১ বছর বয়সী অসালকর জানান, ১৯৮৯-৯০ সালে তিনি বিএআরসি (ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র) মাঠে গ্রাউন্ডসম্যান ও কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন তিনি মাসে তিন হাজার টাকা করে বেতন পেতেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুশক্তিনগর স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এএসএমসি) যখন তার পরিষেবা বন্ধ করে দেয়, তখন তাকে গ্রাউন্ডসম্যানের কাজের জন্য প্রতি মাসে ২৬,০০০ টাকা এবং কোচিং এজেন্সি থেকে কোচিংয়ের জন্য প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, "১৯৮৯-৯০ সালে বিএআরসি মাঠে কাজ শুরু করি। আমি গ্রাউন্ডসম্যান এবং কোচ হিসাবে জগন্নাথ ফানসেকে সহায়তা করছিলাম। মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে শুরু করেছিলাম। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওরা যখন আমার পরিষেবা বন্ধ করে দেয়, তখন আমি গ্রাউন্ডসম্যানের কাজের জন্য প্রতি মাসে ২৬,০০০ টাকা এবং কোচিংয়ের জন্য ১৫,০০০ টাকা পেতাম।"
অসালকর তার চাকরি হারানোর বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকেও লুকিয়ে রেখেছিলেন, এই ভয়ে যে এতে তাদের বাড়িতে অশান্তি হতে পারে। আগের চাকরি হারানোর পর, আসালকর চেম্বুরের একটি ইনডোর টার্ফে কোচিং শুরু করেছিলেন, যেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে মাত্র ১০,০০০ টাকা পান, যা তার আগের উপার্জনের চেয়ে অনেক কম।
এ বিষয়ে তিনি তাঁর শিষ্য সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমি আমার পরিবারের সদস্যদেরও বলিনি যে আমি চাকরি হারিয়েছি। আমি শুধু সূর্যকে বার্তা দিয়েছিলাম যে আমি আমার চাকরি হারিয়েছি। আমি তাকে বলেছি, এই ঘটনার জন্য দায়ী কে। জবাবে সূর্য ওই বিশেষ ব্যক্তিকে সমর্থন করা বন্ধ করে দেন।"
অসালকর তার চাকরি হারানোর বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকেও লুকিয়ে রেখেছিলেন, এই ভয়ে যে এতে তাদের বাড়িতে অশান্তি হতে পারে।