৪ বছর খেলেও সুযোগ পেলেন না USA-এর বিশ্বকাপ দলে, এবার ক্ষোভে আবার ভারতে ফিরে এলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক
ভারতের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল ক্রিকেট দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য বর্তমানে বহু ক্রিকেটার লড়াই চালাচ্ছেন। কিন্তু...ভারতের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সফল ক্রিকেট দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য বর্তমানে বহু ক্রিকেটার লড়াই চালাচ্ছেন। কিন্তু বিসিসিআই (BCCI) সেরা কয়েকজনকেই দলে বেছে নিতে পারেন। তবে তারা সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিভা অনুযায়ী ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে একাধিক নতুন ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের জায়গা করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রতিভাবান ক্রিকেটার উন্মুক্ত চাঁদ (Unmukt Chand) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজের ক্রিকেট জীবনে ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও ভারতের মাটিতে ফিরে এলেন।
উন্মুক্ত চাঁদ ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান তরুণ ব্যাটসম্যান ছিলেন। তার নেতৃত্বে ভারতীয় দল ২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে (U19 World Cup) চ্যাম্পিয়ন হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উন্মুক্ত চাঁদ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি দুরন্ত শতরান করেছিলেন। তারপর আইপিএল সহ ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করলেও তিনি জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। সেই অভিমানে এবং কিছুটা হতাশায় বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে অবসর নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন।
এই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে উন্মুক্ত চাঁদ বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে অসাধারণ পারফরমেন্স করে সকলের নজরে আসেন। তবে এর পরেও তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে কানাডার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। আবার দিল্লিতে ফিরে এসে উন্মুক্ত চাঁদ ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। গতকাল তিনি নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে এই বিষয়ে একটি ছবি দিয়ে পোস্ট করে পুরোনো স্মৃতি তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, "প্রায় ৩ বছরেরও বেশি সময়ের পর দিল্লির গরম আবহাওয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলছি। ডিডিসিএ অনূর্ধ্ব-১৬-এর হয়ে এখানে প্রথম সেন্ট স্টিফেনস গ্রাউন্ডে খেলেছিলাম। পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। পরিস্থিতিগুলোর পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু কিছুই হলো না এখনও। সময় চলে যাচ্ছে।" উন্মুক্ত চাঁদ সম্ভবত এখন ভারতে তার পুরনো কোচ সঞ্জয় ভরদ্বাজের তত্ত্বাবধানে এলবি শাস্ত্রী ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে কোনো ক্লাব টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছেন। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের মূলধারায় এই ব্যাটসম্যানের আবার ফিরে আসা যথেষ্ট কঠিন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।