Jasprit Bumrah: জসপ্রিত বুমরাহকে জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা কিং কোহলির, এখুনি দরখাস্ত সই করতে রাজি জানালেন বিরাট

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ জিতে দেশে ফিরেছে ভারতীয় দল। দেশে ফিরতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে দেখতে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়। মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ থেকে শুরু…

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ জিতে দেশে ফিরেছে ভারতীয় দল। দেশে ফিরতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে দেখতে উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়। মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ থেকে শুরু করে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, সর্বত্র আনাচে কানাচে জুড়ে ক্রিকেটভক্তদের ভিড়। আর সকলেই এই মুহূর্তটার একবার সাক্ষী হতে চেয়েছিলেন, তাই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন।

বাসের ছাদে ট্রফি হাতে খেলোয়াড়দের রোড শো শেষ হওয়ার পরেই খেলোয়াড়রা গিয়ে পৌঁছেছিলেন ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। সেখানে নাচ-গান বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের নিয়ে কথোপকথন অনেককিছুই হয়, আর এই পুরো ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে খুবই গর্ববোধ করেছেন মুম্বাইবাসী। এইদিন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি সকলেই এই চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলের প্রশংসায় লিপ্ত হয়েছেন।

এছাড়াও সকলকে ভিন্ন ভিন্ন করে প্রশংসায়িত করা হয়েছে। বৃহঃস্পতিবার প্রায় ৩৫ হাজার ভক্তের সামনে জসপ্রীত বুমরাহকে ভারতের সম্পদ বলে অভিহিত করেছেন বিরাট কোহলি। তিনি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বলেছেন, “আমি আসলে যেটা চাই, সেটা হল যে একজনের জন্য সকলে বারবার হাততালি দিন। যে এই টুর্নামেন্টে আমাদের বারবার ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছে। বারংবার এবং বারংবার। ও শেষে যা করেছে, সেটা বলে ব্যাখ্যা করা যায় না। দয়া করে জসপ্রীত বুমরাহের জন্য সকলে হাততালি দিন।”

এছাড়া ওই ইভেন্টে সঞ্চালক গৌরব কুমার বুমরাহ সম্পর্কে বিরাটকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি একটা জিনিস ভাবছি। সেটা হল যে জসপ্রীত বুমরাহকে ভারতের জাতীয় সম্পদ বা অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে ঘোষণা করার জন্য একটি পিটিশন শুরু করব। বিরাট, আপনি কি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সেই পিটিশনে স্বাক্ষর করবেন?’ সেই প্রশ্নের উত্তরে বিরাট বলেন, “আমি এখনই সেই পিটিশনে সই করব। ও কবে কী খেলবে, সেটা ও ঠিক করুক। আমি চাই যে ও যতদিন বেশি খেলতে পারে, ততদিন খেলুক। কারণ ওর মতো বোলার প্রজন্মে একজনই আসে। ভাগ্যিস ও আমাদের দলে খেলে।”

এই সবকিছুর বাইরে একটি আবেগপ্রবণ স্মৃতি টেনেছেন বিরাট কোহলি। তিনি ওই ইভেন্টেই বলেছেন, “আমরা গত ১৫ বছর ধরে খেলছি। এই প্রথম আমি রোহিতকে এতটা আবেগপ্রবণ দেখছি। সে কাঁদছিল, আমি কাঁদছিলাম, আমরা দুজনেই বিশাল কাঁদছিলাম। আমি ওই দিনটি কখনই ভুলব না।”