Aman Sehrawat: ম্যাচের আগে ভিনেশের থেকেও বেড়েছিল ওজন, ১০ ঘন্টায় কিভাবে ওজন কমিয়ে মাঠে নামলেন আমান?

প্যারিস অলিম্পিকে ভারতের আমান সেহরাওয়াত বৃহস্পতিবার পুরুষদের ৫৭ কেজি কুস্তির সেমিফাইনালে জাপানের শীর্ষ বাছাই রেই হিগুচির কাছে হারের সম্মুখীন হয়।

Aman Sehrawat Indian Star Reduced 4.6Kg To Be Ready For The Bronze Medal In Paris Olympic Men Wrestling Freestyle 57 Kg

ভারতীয় দল অলিম্পিকে কুস্তি বিভাগে বরাবর নিজেদের প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। এই বছরও প্যারিস অলিম্পিকে কুস্তিতে ব্লু ব্রিগেডরা নানা কারণে আলোচনায় আছেন। গতকাল পুরুষদের ৫৭ কেজি কুস্তি বিভাগে ভারতের হয়ে আমান সেহরাওয়াত ব্রোঞ্জ জয় অরে দেশকে সন্মান এনে দেন। এটি ছিল এই বছরে প্যারিস অলিম্পিকে ভারতের ষষ্ঠতম পদক। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ভিনেশ ফোগাটের মতোই এই কুস্তিগীরের ওজন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল।

প্যারিস অলিম্পিকে আমান সেহরাওয়াত বৃহস্পতিবার পুরুষদের ৫৭ কেজি কুস্তির সেমিফাইনালে জাপানের শীর্ষ বাছাই রেই হিগুচির কাছে হারের সম্মুখীন হয়। তারপর ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচের আগে ভারতীয় এই কুস্তিগীরের ওজন ৬১.৫ কেজি অর্থাৎ প্রয়োজনীয় ওজনের থেকে থেকে ৪.৫ কেজি বেশি ছিল। এর আগে প্যারিস অলিম্পিকে মহিলাদের কুস্তি বিভাগে ভিনেশ ফোগাট ওজনে ১০০ গ্ৰাম বেশি থাকায় ফাইনাল খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি এবং ডিসকোলিফাই হয়ে যান। এই ঘটনা বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন ফেলে দেয়।

ফলে আমান সেহরাওয়াতের কোচিং সদস্যরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় এই কুস্তিগীর সারারাত ধরে না ঘুমিয়ে সফলভাবে ১০ ঘন্টার মধ্যে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলেন। আমান ওজন কমানোর জন্য বিরতিহীন ট্রেডমিলে দৌড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একাধিক শারীরিক কসরতের মধ্যে দিয়ে যান। সেই সময় তিনি শুধুমাত্র কফির সাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে হালকা গরম জল খেয়েছিলেন। এর ফলে আমান সেহরাওয়াতের ওজন ৫৬.৯ কেজিতে নেমে আসে এবং গতকাল দুর্দান্ত লড়াই করে ব্রোঞ্জ জয় করে নেন।

ভারতের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সী এই অলিম্পিক পদকজয়ীর অন্যতম কোচ বীরেন্দর দাহিয়া বলেন, “আমরা প্রতি ঘণ্টায় আমানের ওজন পরীক্ষা করছিলাম। আমরা সারা রাত ঘুমাইনি এমনকি দিনেও না। ওজন কমানোর বিষয়টি আমাদের জন্য রুটিনমাফিক বিষয় স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু ভিনেশের ঘটনাটা আমাদের চিন্তায় রেখেছিল।” শুক্রবার প্যারিস অলিম্পিকে পুয়ের্তো রিকোর ড্যারিয়ান ক্রুজকে হারিয়ে আমান ভারতের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসাবে অলিম্পিকের পদকপ্রাপ্ত হন।