প্লেয়ার, কোচ থেকে রিজার্ভে থাকা রিঙ্কু, সবাই পেল‌ ভাগ, ১২৫ কোটি পুরস্কারে কার ভাগে কত টাকা পড়ল? জানুন

বিসিসিআই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর্থিকভাবেও তারা এখন যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। ফলে এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর…

বিসিসিআই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। আর্থিকভাবেও তারা এখন যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। ফলে এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এবার ব্লু ব্রিগেডদের জন্য নির্ধারিত বিপুল পরিমাণ পুরস্কার মূল্য সকল বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার এবং সহযোগী কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হল। জানুন কে কতো টাকা করে পেলেন।

গত বছর একদিনের বিশ্বকাপে ভারতীয় দল ধারাবাহিকভাবে জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে প্রবেশ করে। তবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা কোটি কোটি সমর্থকদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্লু ব্রিগেডরা নতুন সংকল্প নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। গ্ৰুপ পর্বে এবং নকআউট পর্বে শক্তিশালী দলগুলিকে হারিয়ে ভারতীয় দল ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়। চূড়ান্ত ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়ে ব্লু ব্রিগেডরা শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড তৈরি করে।

এরপর বিসিসিআই বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার এবং সহযোগী সদস্যদের জন্য ১২৫ কোটি টাকা ধার্য করে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সূত্র অনুযায়ী দলের ১৫ জন ক্রিকেটারকে ৫ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এই ক্রিকেটারদের মধ্যে যশস্বী জয়সওয়াল, উইকেটরক্ষক সঞ্জু স্যামসন এবং লেগ-স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল বিশ্বকাপে একটি ম্যাচেও অংশগ্রহণ করেননি। কোচিং গ্রুপের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ, বোলিং কোচ পারস মামব্রে প্রত্যেকে ২.৫ কোটি টাকা করে পেয়েছেন।

এছাড়াও চেয়ারম্যান অজিত আগরকার সহ সিনিয়র নির্বাচক কমিটির ৫ সদস্য যথাক্রমে পেয়েছেন ১ কোটি টাকা করে। এছাড়া সহযোগী কর্মীদের মধ্যে ৩ জন ফিজিওথেরাপিস্ট, ৩ জন থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট, ২ জন ম্যাসেজার এবং স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ প্রত্যেককে ২ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসাবে ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিং, শুভমান গিল, ফাস্ট বোলার আবেশ খান এবং খলিল আহমেদকে যথাক্রমে ১ কোটি টাকা পুরস্কৃত করে সন্মান জানানো হয়।