Smartphone-এর কেয়ার করুন স্মার্টভাবে! নতুনের মতো বিনা ঝামেলায় ব্যবহার করা যাবে বহু বছর

Smartphone Tips: স্মার্টফোন এখন আমাদের জীবনে যে খাদ্য, বস্ত্র বা বাসস্থানের মতোই একটি প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে উঠেছে। ইচ্ছেমতো সুন্দর ফটো ক্লিক করা, সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় কাটানো বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা, কয়েক ক্লিকে বাড়ি বসে জিনিস কেনা, সিনেমা দেখা ইত্যাদি থেকে শুরু করে অনলাইন বিল পেমেন্ট করা বা অন্যান্য কাজ করার জন্য জন্য এই খুদে ইলেকট্রনিক্সটি ছাড়া আমাদের এক মুহূর্ত চলেনা। এই কারণে স্মার্টফোনের সুরক্ষার বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, কারণ এতে আমাদের প্রচুর ডেটা থাকে আর আমরা ঘনঘন নতুন ফোন কিনিনা। পরিসংখ্যান বলছে, বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ইউজার গড়ে ৩ থেকে ৪ বছর ধরে একই ফোন ব্যবহার করেন; তাই ফোনের সঠিক যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে এই প্রতিবেদনে আমরা সাতটি দরকারী জিনিসের কথা বলব, যেগুলি খেয়াল রাখলে ফোন দীর্ঘ সময়ের জন্য ঝকঝকে রাখা যাবে এবং বিনা ঝামেলায় ব্যবহার করা যাবে।

এক স্মার্টফোনে কাটানো যাবে বছরের পর বছর, মাথায় রাখুন এই ৭ টিপস্

১. স্ক্রিনের যত্ন নিন: স্মার্টফোনের স্ক্রিন সেটির সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ। সামান্যতম অসাবধানতাও ফোনের স্ক্রিনের বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই এটিকে ধুলো ও জল থেকে দূরে রাখুন এবং সবসময় নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য আপনি একটি স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন।

২. কেস বা কভার ব্যবহার করুন: ফোনটিকে নষ্ট হওয়ার থেকে বাঁচাতে এবং নতুনের মতো রাখতে ভালো কভার ব্যবহার করুন। তবে মনে রাখবেন কভারটি যেন খুব বেশি টাইট আবার খুব ঢিলে না হয়, এতে ফোনের ক্ষতি হতে পারে।

৩. ব্যাটারি কেয়ার: দীর্ঘসময় ফোন ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোনের ব্যাটারির যত্ন নিন। প্রয়োজন না থাকলে ঘন ঘন মুঠোফোন চার্জ করবেননা, এছাড়া সবসময় আসল চার্জার ব্যবহার করুন। যদি সম্ভব হয়, আপনি অপ্টিমাইজেশান অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে পারেন৷

৪. সফ্টওয়্যার আপডেট: বহু স্মার্টফোন কোম্পানিই এখন ৩ থেকে ৫ বছরের সিকিউরিটি এবং সফ্টওয়্যার আপডেট দেয়। তাই স্মার্টফোনের সফ্টওয়্যারটি সময়ে সময়ে আপডেট করুন, এতে স্মুথ পারফরম্যান্সও পাবেন।

৫. ডেটা ম্যানেজমেন্ট: মনে রাখবেন, ফোনে বেশি ডেটা থাকলে ফোন ঠিকমতো কাজ করতে পারবে না। তাই সময়ে সময়ে ফোন থেকে অপ্রয়োজনীয় ডেটা মুছে ফেলতে থাকুন। এছাড়াও আপনার স্মার্টফোনে একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস এবং সিকিউরিটি অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে ডেটা নিরাপদে রাখুন। এছাড়া স্মার্টফোনে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ থাকলে সেগুলি ডিলিট করে দিন। এছাড়াও সময়ে সময়ে স্মার্টফোনের ডেটার ব্যাকআপ নিন এবং সেগুলিকে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন৷

৬. সঠিক নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি ব্যবহার: ফোনের অ্যাপ এবং ডেটা মসৃণভাবে চালাতে সঠিক স্মার্টফোন নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ব্যবহার করুন। ভালো নেটওয়ার্কে ফোনের ব্যাটারি লাইফও ঠিক থাকবে।

৭. স্মার্টফোন সিকিউরিটি: স্মার্টফোনের বেহাত হওয়া আটকাতে প্যাটার্ন লক, পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো সিকিউরিটি অপশন ব্যবহার করুন।