দাম্পত্যের শত্রু খুদে যন্ত্র! স্ত্রীকে ছেড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্মার্টফোন ঘাঁটছেন স্বামী

মোবাইল বা স্মার্টফোন আমাদের বর্তমান জীবনের সাথে এমন জড়িয়ে গেছে যে, এখন এই ডিভাইসটিকে ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও চলা ভার। স্মার্টফোনের সাহায্যে এখন আমাদের প্রতিটাদিন কাটানো অনেক সহজ হয়ে গেছে, বলতে গেলে হাতে এই খুদে যন্ত্রটি থাকা মানে গোটা দুনিয়া হাতের তালুর মধ্যে থাকা! কিন্তু এই স্মার্টফোনের যে কোনো কুপ্রভাব নেই তা নয়। ইতিমধ্যেই বহুবার দাবি উঠেছে যে, স্মার্টফোনের কারণে শরীরে নানাবিধ ক্ষতি হতে পারে। আবার সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, স্মার্টফোনের অত্যধিক ব্যবহার ভারতের বিবাহিত দম্পতিদের সম্পর্কে বেশ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। হ্যাঁ ঠিকই বলছি। আসলে সাইবারমিডিয়া রিসার্চ, জনপ্রিয় মোবাইল কোম্পানি Vivo-র সাথে হাত মিলিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরের মোট ২,০০০ জন লোকের ওপর একটি সার্ভে চালিয়েছিল; আর ‘সুইচড অফ’ (Switched off) শীর্ষক সার্ভেটিতেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

স্মার্টফোনের কারণে ভাঙছে সম্পর্ক?

সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৭% মানুষ জানিয়েছেন যে তারা তাদের লাইফ পার্টনারের সাথে সময় কাটাতে কাটাতেও ফোন ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে স্মার্টফোনের অত্যধিক ব্যবহার ৮৮ শতাংশ ইউজারের সম্পর্কের ক্ষতি করছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ৮৯% মানুষ দাবি করেছেন যে, তারা চাহিদামত তাদের প্রিয়জনের সাথে ততটাও সুখকর সময় কাটাতে পারেননা।

দিনে ৫ ঘণ্টা করে ফোন ব্যবহার করছেন

সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে যে, এখন বেশিরভাগ মানুষ (পড়ুন বিবাহিত) সারাদিনে গড়ে ৪.৭ ঘণ্টা সময় স্মার্টফোনের পেছনে ব্যয় করছেন। এতে করে তাদের নিজেদের মধ্যে যথাযথভাবে কথোপকথন করা বা সময় কাটানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে ৯০% মানুষ তাদের স্ত্রী বা জীবন সঙ্গীনির সাথে তাদের অবসর সময় কাটাতে চান বলে জানিয়েছেন, কিন্তু ৮৮ শতাংশ স্মার্টফোন ইউজার বলছেন যে তারা তাদের ফ্রি টাইম ফোনের পেছনেই খরচ করেন। সেক্ষেত্রে, মুঠোফোন যে কার্যত একটি নেশার সামগ্রীতে পরিণত হচ্ছে এমনটা বলা যেতেই পারে।

ঘুম থেকে উঠেই হাতে ফোন

উল্লেখ্য, আরেকটি চমকপ্রদ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে বেশিরভাগ স্মার্টফোন ইউজারই ঘুম থেকে ওঠার ১৫ মিনিটের মধ্যে হাতের এই যন্ত্রটিতে মগ্ন হয়ে পড়েন। গতবছর এই ধরণের ইউজারদের পরিসংখ্যান ছিল ৫২%। স্বাভাবিকভাবেই এই সংখ্যা এখন আরো বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভিভো ইন্ডিয়ার এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, আজকের জীবনে স্মার্টফোনের গুরুত্ব ব্যাপকভাবে বেড়েছে বটে তবে ইউজারদের ভালো থাকতে হলে একটু সচেতন হতে হবে।