Bajaj Pulsar: আচমকা আগুন বাজাজ পালসারে, নেভাতে গিয়ে পুড়ে জখম বাইক মালিক

প্রতিদিন রাস্তায় বেরোলেই আমরা কোনো না ঘটনার সাক্ষী থাকি। হয়তো সবদিনের সব ঘটনার কথা আমাদের স্মৃতিতে থাকে না। তবে কোনো ঘটনাই হোক বা অঘটন, যদি সেটির বিশেষত্ব থাকে, তা আমাদের স্মৃতিতে দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে আমাদের দেখা এমন বহু ঘটনাই রয়েছে, যেখান থেকে আমরা একটি জীবনের একটি বড় শিক্ষা পেয়েছি। তেমনই এবার এক দুর্ঘটনা আমাদের একটি মূল্যবান শিক্ষা দিয়ে গেল।

ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে রাস্তার মাঝে একটি বাজাজ পালসার (Bajaj Pulsar) মোটরবাইকে আগুন লাগার সাথে সাথে তীব্র বিস্ফোরণে ফেটে পড়ে। ঘটনাস্থলের আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা কোন এক ব্যক্তি ঘটনার ভিডিও করে তা ইউটিউবে আপলোড করেন। তবে কিছু গ্রাফিক কনটেন্টের কারণে সম্পূর্ণ ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনাস্থল সম্পর্কে জানা না গেলেও ভিডিয়োটি দেখে মনে করা হচ্ছে সেটি Bajaj Pulsar NS125। ওই বাইকটিতে সামান্য আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা দেওয়ায় মোটা পাইপ দিয়ে বাইকটিতে জল দেওয়া হচ্ছিল। তৎসত্ত্বেও স্ফুলিঙ্গের আকার বাড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পাশ থেকে চিৎকার করে ফুয়েল ট্যাঙ্কের ঢাকনাটি খুলে দিতে বলেন। কিন্তু বাইক চালক ফুয়েল ক্যাপ খুলতেই আগুন আরও বড় আকার ধারণ করে তাঁর গায়ে লেগে যায়।

এরপর ওই ব্যক্তি যন্ত্রণায় প্রবল আর্তনাদ করতে থাকেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন স্বহৃদয় ব্যক্তি তাঁর গায়ে জল ঢালতে থাকেন এবং পাশে পড়ে থাকা কিছু মোটা কাপড় দিয়ে তাঁর গায়ে চেপে ধরেন। কিছু সময় বাদে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। হয়তো ওই ব্যক্তিকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি এ পর্যন্তই। এতকিছু বিবরণ দেওয়ার একটাই কারণ, তা হচ্ছে এই ঘটনাটি থেকে আমরা কি শিক্ষা লাভ করলাম!

ঘটনাটি অতি দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রত্যেকের কাছে এটি অতি শিক্ষনীয় একটি ঘটনা। এই প্রসঙ্গে যেই কথাটি বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে, যদি রাস্তায় বাইকে সামান্যতম অগ্নুৎপাত ঘটে সে ক্ষেত্রে টু-হুইলারটির সাথে অবশ্যই আমাদের একটি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। হতে পারে সেটি অনেক প্রিয় একটি বাইক বা স্কুটার। কিন্তু নিজের প্রাণের চাইতে দামী নয়। তাছাড়া পেট্রোল একটি অতি দাহ্য পদার্থ, তাই এহেন পরিস্থিতিতে কখনোই তেলের ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলা মানে আরও বড় বিপদ ডেকে আনা। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র বিশেষজ্ঞদের সাহায্যই নেওয়া উচিত।