বড় ডিসপ্লের সাথে পাওয়া যাবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, Amazon Fire Max 11 ট্যাবলেট বাজেটের মধ্যে লঞ্চ হল

অ্যামাজন ফায়ার ম্যাক্স ১১ ট্যাবলেটের দাম ২২৯.৯৯ ডলার (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১৯,০০০ টাকা) রাখা হয়েছে

Amazon আজ (২৪শে মে) তাদের Fire-সিরিজের অধীনে একটি নতুন ট্যাবলেট উন্মোচন করল। নয়া Amazon Fire Max 11 ট্যাবলেটকে বাজেট সেগমেন্টের অধীনে লঞ্চ করা হয়েছে। মূলত যারা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অনলাইন কনটেন্ট দেখতে অভ্যস্ত তাদের উদ্দেশ্যে এই ট্যাবলেটটি চালু করা হয়েছে। এছাড়া ‘Amazon Luna’ গেমিং সার্ভিস প্রি-লোডেড থাকায়, এটিকে গেমিং ডিভাইস হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। আবার Amazon Fire Max 11 ট্যাবলেটে পাওয়া যাবে ১১-ইঞ্চির ডিসপ্লে প্যানেল, ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ও ফ্রন্ট ক্যামেরা , মিডিয়াটেক অক্টা-কোর প্রসেসর, ১৫ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থিত ব্যাটারি এবং ওয়াই-ফাই ৬ কানেকশনের সাপোর্ট। এই কারণে একে Amazon এর সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট হিসাবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। চলুন Amazon Fire Max 11 -এর দাম ও স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…

Amazon Fire Max 11 – স্পেসিফিকেশন

নাম অনুসারে, অ্যামাজন ফায়ার ম্যাক্স ১১ ট্যাবলেটে ১১-ইঞ্চির (২০০০x১২০০ পিক্সেল) ডিসপ্লে রয়েছে। এই নতুন ফায়ার ট্যাবলেট পূর্বসূরিদের তুলনায় সর্বাধিক পিক্সেল ডেনসিটি সাপোর্ট করে বলে দাবি করা হয়েছে। ক্যামেরা বিভাগের ক্ষেত্রে, এই ডিভাইসের সামনে ৮-মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। আর ব্যাক প্যানেলেও ৮-মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা বিদ্যমান থাকছে, যা ১০৮০পিক্সেল ভিডিও রেকর্ডিংয়ে সমর্থ।

ফায়ার-সিরিজের এই নতুন ট্যাবলেট মেটাল ইউনিবডি ডিজাইন সহ উপলব্ধ। এটি অন্যান্য যেকোনো এন্ট্রি-লেভেল আইপ্যাডের চেয়ে তিনগুণ বেশি টেকসই বলে জানিয়েছে অ্যামাজন। বিশেষত্বের কথা বললে এই ট্যাবলেটের সাথে একটি ডিটাচেবল ফোলিও কী-বোর্ড দেওয়া হবে, যাতে ট্র্যাকপ্যাড উপলব্ধ। এই ট্যাবলেট অ্যামাজন স্টাইলাস পেনের সাথে সমঞ্জস্যপূর্ণ। এদিকে কানেক্টিভিটি বিকল্প হিসাবে এতে – ওয়াই-ফাই ৬ এবং ব্লুটুথ ৫.৩ অন্তর্ভুক্ত থাকছে।

অভ্যন্তরীণ স্পেসিফিকেশনের কথা বললে, Amazon Fire Max 11 ট্যাবলেটে ২.২ গিগাহার্টজ ক্লক রেটের মিডিয়াটেক এমটিকে৮১৮৮যে (MediaTek MTK8188J) অক্টা-কোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ৪ জিবি র‌্যাম এবং ৬৪ জিবি / ১২৮ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যাবে। আবার অপারেটিং সিস্টেম হিসাবে ফায়ার ওএস প্রি-লোডেড থাকছে। সর্বোপরি গেমাররা এই ট্যাবলেটে ‘অ্যামাজন লুনা’ গেমিং সার্ভিসের সুবিধাও পেয়ে যাবেন। পাওয়ার ব্যাকআপের কথা বললে, Amazon Fire Max 11 ট্যাবলেটে থাকা ব্যাটারি ফুল চার্জে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ অফার করতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ডিভাইসটি ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টের মাধ্যমে ১৫ ওয়াট চার্জিং সমর্থন করে।

Amazon Fire Max 11 -এর দাম

অ্যামাজন ফায়ার ম্যাক্স ১১ ট্যাবলেটের দাম ২২৯.৯৯ ডলার (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১৯,০০০ টাকা) রাখা হয়েছে। তবে এর সাথে ফোলিও কেস এবং স্টাইলাস, কম্বো হিসাবে কিনলে ৩২৯.৯৯ ডলার (প্রায় ২৭,৩০০ টাকা) প্রদান করতে হবে। লভ্যতার কথা বললে, এই ট্যাবলেটকে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে প্রি-অর্ডারের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয়, অ্যামাজনের ফায়ার-সিরিজ অন্তর্গত কোনো ট্যাবলেটকেই ভারতে আনা হয়নি। ফলে নবাগত Fire Max 11 মডেলটিকে আদৌ ভারতে পাওয়া যাবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।