বছর শেষে Twitter-এ ভারতের ভুল মানচিত্র শেয়ার করে মন্ত্রীর তোপের মুখে WhatsApp

প্রতিদিন WhatsApp ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা কত কিছুই না এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে শেয়ার করে থাকি। ছবি, ভিডিও, মিউজিক, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ইত্যাদি চটজলদি দূরে থাকা মানুষের কাছে পাঠানোর জন্য এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি বেশ বিশ্বস্তও বটে! কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও মাঝেমধ্যেই WhatsApp-এর মাধ্যমে ভুয়ো বা বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে পড়ার কথা শোনা যায়। আসলে অধিকাংশ ইউজারই সাত-পাঁচ না ভেবে (কখনো কখনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেও) কোনো তথ্য বা খবরকে প্রাধান্য দিয়ে তা বাকিদের শেয়ার করেন। সেক্ষেত্রে এই ভুয়ো খবর শেয়ারের বিষয়টি আটকানোর জন্য WhatsApp কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বহু নিয়ম এনেছে; আর Meta মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির সেইসব নিয়ম বেশ প্রশংসিতও হয়েছে। তবে অতিসম্প্রতি খোদ সংস্থাই এমন একটি ভুল করে বসেছে, যার জন্য বলতে গেলে নড়েচড়ে বসেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে যে, আজ মানে ৩১শে ডিসেম্বর WhatsApp-এর অফিসিয়াল Twitter হ্যান্ডেল থেকে ভারতের একটি ভুল মানচিত্র শেয়ার হয়েছে, যার জন্য তাদের কড়া সতর্কতা জানিয়েছেন বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ভারতের ভুল মানচিত্র টুইট করেছে WhatsApp

রাত পেরোলেই নতুন বছর, ২০২৩ সাল। সেই উপলক্ষেই জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ তার নববর্ষ উদযাপনের একটি লাইভ-স্ট্রিমিং লিঙ্ক টুইট করেছিল। কিন্তু সেই টুইট ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিপত্তি! ওই টুইটের সাথে হোয়াটসঅ্যাপ ভারতের ভুল মানচিত্র শেয়ার করেছে, যার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চন্দ্রশেখর হোয়াটসঅ্যাপকে ট্যাগ করে ত্রুটিটি ঠিক করতে বলেন। তাঁর মতে, যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভারতে ব্যবসা করছে তাদের অবশ্যই দেশের সঠিক মানচিত্র ব্যবহার করতে হবে।

উল্লেখ্য, এই সপ্তাহের শুরুতে চন্দ্রশেখর, ভিডিও কলিং প্ল্যাটফর্ম জুমের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা এরিক ইউয়ানকে একইরকমভাবে সতর্কতা জারি করেছিলেন। কারণ এরিক একটি ভিডিও টুইট করেছিলেন যেখানে ভারতের মানচিত্র বিকৃত ছিল – ওই ম্যাপে জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দেখানো হয়নি। সেক্ষেত্রে মন্ত্রী বলার পর জুমের সিইও সেই টুইট ডিলিট করে দেন।

অক্টোবরে নতুন বিধি নিয়ম জারি করেছে সরকার

এই বছরের অক্টোবরে, সরকার, টুইটার এবং ফেসবুক (Facebook)-এর মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য কিছু নতুন নিয়ম জারি করেছে। এই নিয়মগুলির কারণে প্ল্যাটফর্মগুলি নিয়ন্ত্রণে থাকবে (মানে এগুলিতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এড়ানো যাবে) বলেই অনুমান করা হচ্ছে।