Amazon থেকে শপিংয়ের জের! কাটা গিয়েছিল 10 টাকা, শেষে লাখ টাকা খোয়ালেন মহিলা

আবারও অনলাইন জালিয়াতি, Amazon থেকে কেনাকাটা করতে গিয়ে লক্ষাধিক টাকা হারিয়ে ফেললেন এক মহিলা। কীভাবে?

Amazon Scam: সাইবার জালিয়াতি বিষয়টি এখন ভারতের রোজনামচায় একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়শই এরকম কোনো না কোনো ফাঁদের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ – হাজার সাবধানবাণী মেনেও তেমন কোনো কাজ হচ্ছেনা। যেমন সম্প্রতি Amazon India থেকে অনলাইন শপিং করতে গিয়ে অদ্ভুতভাবে প্রতারিত হয়েছেন মুম্বাইয়ের এক মহিলা। জানা গিয়েছে যে, তিনি এই ঘটনার জেরে ১.২০ লক্ষ টাকা খুইয়ে ফেলছেন, যেখানে জালিয়াতরা প্রথমে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মাত্র ১০ টাকা ডেবিট করেছিল। ঠিক কী হয়েছিল ওই মহিলার সাথে? আসুন জেনে নিই।

Amazon থেকে চেয়ার কিনতে গিয়ে জালিয়াতির শিকার মহিলা

সূত্রের মতে, ভিক্টিম, মুম্বইয়ের পশ্চিম মালাড অঞ্চলের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা যিনি হালফিলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন থেকে ১৫,০০০ টাকার একটি চেয়ার অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে পার্সেল তাঁর কাছে পৌঁছায়নি, যে কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং ট্র্যাকিংয়ের ডিটেইলস পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে তিনি ট্র্যাকিং সংক্রান্ত বিবরণ ব্যবহার করে পার্সেল কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে গেলেই ঘটে যায় বিপত্তি। কাস্টমার সার্ভিসের নামে ওই মহিলা, একজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন যিনি নিজেকে ডেলিভারি কোম্পানির কর্মচারী হিসেবে পরিচয়ও দেন। কিন্তু আদতে ওই ব্যক্তি একজন প্রতারক ছিলেন। সে পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার নামে ওই গ্রাহক মহিলাকে মিথ্যে বলে যে, তাঁর অর্ডারে ভুল ঠিকানা দেওয়া আছে তাই জিনিসটি তিনি পাননি। এছাড়া সমাধানের জন্য সে একটি লিঙ্ক দিয়ে সঠিক ঠিকানা আপডেট করতে বলে, যেখান থেকে ওই মহিলার ইউপিআই (UPI) পিনও অ্যাক্সেস করা হয়। 

প্রথমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা যায় ১০ টাকা

কয়েক হাজার টাকার পার্সেল হাতে পেতে ওই মধ্যবয়স্কা মহিলা, প্রতারকের কথা মতো নিজের বিশদ জমা দেন, যার পর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অবিলম্বে ১০ টাকা ডেবিট হয়ে যায়। এদিকে, স্ক্যামাররা মহিলাটিকে কল করার পর পার্সেল ট্র্যাক করতে সক্ষম হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এক্ষেত্রে ২ ঘন্টা পর পার্সেলটি মহিলার কাছে পৌঁছেও যায়। কিন্তু তার দরুন তাঁকে বড় মাশুল চোকাতে হয়। এরপর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় ৫,০০০ টাকা। 

এখানেই শেষ নয়, তিনদিন পর ওই মহিলা ব্যাঙ্কের তরফ থেকে একটি মেসেজ পান যেখানে তিনি দেখেন তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই বিস্ময়কর বিষয়টি জানতে পারার সাথে সাথেই তিনি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি! এই সময়ের মধ্যে মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১,১৯,৯৯৮ টাকা ডেবিট হয়ে যায় – তাঁর অনুমতি ছাড়াই। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন, পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।