Online Scam: FASTag রিচার্জ করবেন ভাবছেন? এই ভুল করলে খালি হয়ে যাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট!

রিচার্জ করার জন্য দোকানে যাওয়া বা ফি-বিল মেটাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা – এখন একটি সেকেলে ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বললে অত্যুক্তি হয় না! কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে এতটাই জড়িয়ে গেছে যে, বিভিন্ন ধরনের রিচার্জ (টিভি/মোবাইল/ব্রডব্যান্ড ইত্যাদির জন্য) করা, বিদ্যুৎ বা অন্যান্য কোনো কিছুর বিল মেটানো, টিকিট বুকিং কিংবা অন্যান্য কোনো বিষয়ে ক্যাশলেস পেমেন্টের জন্য আঙুলের ডগা সবসময় প্রস্তুত থাকে। এমনকি রাস্তায় টোল ট্যাক্স মেটাতে গেলেও এই মুহূর্তে ব্যাপক কার্যকরী অনলাইন পেমেন্ট, কারণ এখন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার টোল ব্যবস্থার সাথে জড়িত FASTag (ফাস্ট্যাগ) নামক একটি সুবিধাজনক (পড়ুন নির্ঝঞ্ঝাট) বিকল্প। কিন্তু অনলাইন পেমেন্টকে কেন্দ্র করে যে বিভিন্ন ধরণের জালিয়াতির ফাঁদ পাতা থাকছে, তার আওতা থেকে FASTag সিস্টেমও সুরক্ষিত নয় বলেই এবার মনে হচ্ছে। আসলে এবার FASTag রিচার্জ করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক মহিলা, যার জেরে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে তার অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে।

কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে গিয়ে টাকা খোয়ালেন মহিলা

টাইমস নাও (TimesNow)-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মুম্বাই নিবাসী এক মহিলা সম্প্রতি ফাস্ট্যাগ সিস্টেম ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন। এক্ষেত্রে তিনি কীভাবে অনলাইনে ফাস্ট্যাগ রিচার্জ করা যায়, তার পদ্ধতি ইন্টারনেটে সার্চ করছিলেন এমন সময় তার হাতে আসে একটি কাস্টমার কেয়ার নম্বর। এখান থেকেই শুরু ঘটনার জট!

নেটমাধ্যমে নম্বর পেয়ে ওই মহিলা তাতে কল করেন এবং রিচার্জের জন্য সাহায্য চান। এর প্রেক্ষিতে তাঁকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয়। তিনি তখনো বোঝেননি যে কী হতে চলেছে তাঁর সাথে। ফলে সাতপাঁচ না ভেবেই তিনি প্রদত্ত লিঙ্কে ক্লিক করে ফোনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেন। এতে তাঁকে কাস্টমার কেয়ার এজেন্টের নামে একজন লগ-ইন করতে বলে। লগইন করার পরে, মহিলাটি একটি মেসেজ পান যেখানে বলা হয়, তাঁর ফাস্ট্যাগ রিচার্জ সফল হয়েছে।

রিচার্জের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ!

সবশেষে যখন ওই মহিলা নিজের ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট চেক করেন, তখন বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গেছে। তিনি জানতে পারেন যে, বেশ কিছু ট্যানজাকশনের মাধ্যমে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গেছে। এরপর তড়িঘড়ি মুম্বাই পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দেন তিনি, জালিয়াতির কথা জানান ব্যাঙ্ককেও। ব্যাঙ্ক, পরে আড়াই লাখ টাকার ট্যানজাকশন আটকে দেয়।

সেক্ষেত্রে আমরা বলব টোলপ্লাজায় ট্যাক্স দেওয়ার বিরক্তিবোধ থেকে রেহাই পেতে হলে FASTag রিচার্জ করুন অবশ্যই, কিন্তু তার জন্য একটু চোখ কান খোলা রাখুন। সবসময় অথেন্টিক বা পরিচিত সোর্সের তথ্য অনুসরণ করুন এবং সেইমত অনলাইন পেমেন্ট করুন। এছাড়া কোনো সন্দেহজনক মেসেজে আসা লিঙ্কে ক্লিক করা বা অ্যাপ ডাউনলোড করার মত ভুল করবেন না!