এক চার্জে 500 কিমি! Xiaomi-র সাহায্যে অবিশ্বাস্য দামে Ferrari-র মতো দেখতে ইলেকট্রিক স্পোর্টস কার আনল এই সংস্থা

বিগত কয়েক মাস ধরে স্মার্টফোনের কিংবদন্তি চীনা সংস্থা শাওমি (Xiaomi) নিজেদের ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আনার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। সেপথে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেনি সংস্থাটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জটিলতায় কার্যত বিশ বাঁও জলে শাওমির ব্যাটারি চালিত গাড়ি বাজারের আনার স্বপ্ন। এ বছরের আগস্টে নতুন মডেলটি উন্মোচনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল শাওমির বিনিয়োগ থাকা সংস্থা চীনা কার কাস্টম (China Car Custom)। সংস্থাটি ফেরারির মতো দেখতে নিজেদের প্রথম ইলেকট্রিক স্পোর্টস কারের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। এমনকি শাওমি ছাড়াও বিভিন্ন ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) নির্মাতার সাথে হাত মিলিয়েছে তারা।

এদিকে শাওমি ২০১৬ সালে তাদের প্রথম একটি ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেছিল। এর আগে সংস্থা জানিয়েছিল যে তারা আগামী দশ বছরে ১,০০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৮০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবসার কথাটি গত বছর মার্চে ঘোষণা করেছিল শাওমি। তখন সংস্থাটি জানিয়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫০ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে। যাই হোক, নিজেদের গাড়ি আনার আক্ষেপ চীনা কার কাস্টমের বা সিসিসি দ্বারা পূরণ করেছে তারা। সিসিসি ছাড়াও বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং এর ব্যাটারির উপর কাজ করে এমন একাধিক স্টার্টআপে বিনিয়োগ করেছে শাওমি। যা এই পরিস্থিতিতে সংস্থাটিকে আশার আলো দেখাচ্ছে।

সিসিসি-র নমুনা মডেলটির নামকরণ করা হয়েছে SC01। এটি দুই আসন ও দুই দরজা বিশিষ্ট একটি স্পোর্টস ইলেকট্রিক গাড়ি। এতে রয়েছে একজোড়া ইলেকট্রিক মোটর। যার সম্মিলিত আউটপুট প্রায় ৩২০ কিলোওয়াট। ১৩০০ কেজি ওজনের গাড়িটি ৩.৯ সেকেন্ডে ০-১০০ কিমি প্রতি ঘন্টার গতিবেগ তুলতে সক্ষম। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে! গাড়িটির রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটারের অধিক হবে বলে দাবি করা হয়েছে। ২৮ ডলার বা প্রায় ২,২৯০ টাকার বিনিময়ে এর বুকিং গ্রহণ শুরু করেছে সিসিসি।

SC01 ডিজাইনের দিক থেকে Lancia Stratos 2010-এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে। Lancia ছিল সর্বাধিক উন্নত স্পোর্টস কার নির্মাতাদের মধ্যে একটি। Ferrari-র মতোই এর জনপ্রিয়তা ছিল। এক সময় তার নাম যাতা সংস্থার হারিয়ে যাওয়া Stratos 2010 ফের প্রত্যাবর্তন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, সিসিসি-তে শাওমি মোট ১০০ কোটি ইউয়ান বা প্রায় ১১ কোটির বেশি অর্থ বিনিয়োগ করেছে।