Tesla-র ইলেকট্রিক গাড়ির ফিচার নিয়ে বাইক লঞ্চ করে সবাইকে চমকে দিতে চলেছে Honda

মোটরসাইকেলের দুনিয়ায় নতুনত্বের দিশা দেখাতে হোন্ডা (Honda)-র জবাব নেই। প্রায়শই সংস্থাটি এমন কিছু করে দেখায়, যা টু-হুইলার শিল্পে ট্রেন্ডে পরিণত হয়। এবারেও তেমন এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে চলেছে হোন্ডা। কী শুনবেন? আন্তর্জাতিক বাজারে সংস্থার বড় ইঞ্জিনের অতি জনপ্রিয় বাইক Africa Twins-এর সামনে ক্যামেরা যোগ হতে চলেছে। এই প্রযুক্তি নির্ভর দুনিয়ায় এটি অতিসাধারণ মনে হলেও দু’চাকার গাড়ির বাজারে এমন নিদর্শন নেই বললেই চলে। টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ির মতো ফ্রন্ট ক্যামেরা ছাড়াও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিং বাইকটি আরও একাধিক আপডেট সহ আনা হবে।

Honda Africa Twins-এর ক্যামেরাযুক্ত মডেলের জন্য ইতিমধ্যেই পেটেন্ট দায়ের করেছে সংস্থা। এখন প্রশ্ন কী কারণে বাইকের সামনে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে? এক্ষেত্রে সংস্থার বক্তব্য ক্যামেরাটি রাস্তার যানজট বুঝে চালককে সঠিক তথ্য প্রদান করে রাইডিংয়ে সহায়তা করবে। পেটেন্ট ছবি দেখে ধারনা করা হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের ক্যামেরাটি স্মার্টফোনের মত কাজ করবে। যেটি বাইকের এলইডি হেডলাইটের ঠিক নিচে ডানদিকে স্থাপন করা হবে।

একটি সুরক্ষিত স্থানে ক্যামেরা রাখার কারণ যাতে বাইরের কোনো আঘাত থেকে সেটিকে রক্ষা করা যায়। পেটেন্টের ছবিটি আরও ভালোভাবে দেখলে বোঝা যায় যে, ফ্রন্ট ক্যামেরাটি বাইকের সামনের স্থায়ীভাবে বসানো হয়নি। এর কারণ ঝাঁকুনির হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া। তবে এই ক্যামেরা আপাতত হোন্ডার ফ্ল্যাগশিপ অ্যাডভেঞ্চার মডেলেই দেওয়া হবে। অদূর ভবিষ্যতে সেটি রোড বায়াস্ড মডেলগুলিতেও দেওয়া হতে পারে। যদিও সংস্থার তরফে এখনও কোনো নিশ্চিত বার্তা আসেনি।

Honda Africa Twin-এ এই নতুন ক্যামেরা প্রযুক্তি অন্যান্য নির্মাতাদের থেকে হোন্ডাকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। যদিও সেটি টেসলা এবং অন্যান্য নির্মাতার থেকে আলাদা হবে, যা তাদের সুরক্ষা প্রযুক্তির অংশ হিসাবে রাডার এবং লিডার ব্যবহার করে। এটি আগামী বছর নভেম্বরে ইতালির মিলানে আসন্ন EICMA বাইক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উন্মোচিত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।