লঞ্চ হল বিশ্বের সবচেয়ে অনন্য হেডফোন Dyson Zone; ব্যবহার করা যাবে মাস্ক ও এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে

জনপ্রিয় ভ্যাকুয়াম ক্লিনিং গ্যাজেট নির্মাতা Dyson (ডাইসন) এবার বিশ্বের সবচেয়ে অনন্য হেডফোন লঞ্চ করে বসল! আসলে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কোম্পানিটি সম্প্রতি Dyson Zone (ডাইসন জোন) নামের হেডফোন এনে, উইয়ারেবল মার্কেটে প্রবেশ করেছে। তবে এই Dyson Zone কোনো সাধারণ অ্যাক্সেসরি নয়, বরঞ্চ এটি এয়ার পিউরিফায়ার হেডফোন। সংস্থার দাবি যে, এটি ব্যবহার করলে নাক এবং মুখের কাছে ফিল্টার করা বাতাসের ভাল প্রবাহ থাকবে। অন্যদিকে এই হেডফোনে নয়েজ ক্যান্সেলেশন ফিচার পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, Dyson Zone, সংস্থার ৬ বছরের গবেষণার ফসল বলে জানানো হয়েছে।

Dyson Zone হেডফোনের স্পেসিফিকেশন

সাধারণ ইয়ারফোনের মত ডাইসন জোনে নিওডিয়ামিয়াম ড্রাইভার রয়েছে। সাথে রয়েছে অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশন (ANC) মোড যার মধ্যে আইসোলেশন, কনসারভেশন এবং ট্রান্সপারেন্সি অপশন বিদ্যমান। এর মধ্যে, আইসোলেশন হল ANC-এর শীর্ষতম মোড। উল্লেখ্য, ইউজাররা এটিতে একটি অডিও প্লেব্যাক মোডও দেখতে পাবেন।

এদিকে ডাইসন জোনে দুটি মোটর রয়েছে যা ইয়ারকাপেই অবস্থিত; এই দুটি মোটরই ইউজারের মুখ ও নাকে পরিষ্কার বাতাস সরবরাহ করে। আবার এতে চারটি এয়ার পিউরিফায়ার মোড রয়েছে যা লো, মিডিয়াম, হাই এবং অটোর মত অপশন অফার করবে। সংস্থার মতে, মোডগুলি প্রয়োজন অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হবে।

এছাড়া এই বিশেষ হেডফোনে এয়ার পিউরিফিকেশেনের জন্য একটি ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক ফিল্টার রয়েছে, যা ৯৯ শতাংশ পরিস্রাবণ করতে (ধুলো থেকে ব্যাকটেরিয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছু ফিল্টার করতে) সক্ষম। এই ফিল্টারগুলি নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং ওজোন ইত্যাদি ফিল্টার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির অ্যাপের সাথে সংযোগ করে ডাইসন জোন পর্যবেক্ষণ করা যাবে এবং প্রয়োজনীয় ডেটা পাওয়া যাবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, এই হেডফোন ব্যবহার করলে আলাদা করে ফেস মাস্ক লাগবে না। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এখনো ডাইসন জোন হেডফোনের দাম বা লভ্যতা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।