Bajaj Auto: টু-হুইলারের বিক্রিতে বিপুল পতন বাজাজের, কেন এমন অবস্থা?

ইদানিং ব্যবসায় সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না বাজাজ অটো (Bajaj Auto)-র। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের শেষ তিনটি মাস অর্থাৎ ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যবসার হাল ফেরাতে ব্যর্থ বাজাজ। ফলত লাভের বদলে লোকসানই গুণতে হল। কিন্তু ঠিক এক বছর আগের এই সময়ের অর্থাৎ, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের অন্তিম তিন মাসের চিত্রটি ছিল পুরোদস্তুর আলাদা। ব্যবসায় এই ক্ষয়ক্ষতির মূল কারণ হিসেবে সংস্থাটি সাপ্লাই চেন বা জোগান শৃঙ্খলের সমস্যাকে দায়ী করেছে।

তবে ২০২১-এর শেষ ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২০২২-এর এই সময়ে বাজাজ ব্যবসায় ৯% ঘাটতি দেখলেও, গত অর্থবর্ষে তারা টু-হুইলার রফতানিতে ২২% উত্থানের সাক্ষী থেকেছে। আবার সংস্থার দাবি তাদের মোট বিক্রির ৫২ শতাংশ হচ্ছে রফতানি। ব্যবসায় পতনের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টর চিপের অপ্রতুলতা, আকাশ ছোঁয়া জ্বালানির মূল্য এবং কাঁচামালের খরচ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া।

রাশিয়া-ইউক্রেনের সামরিক হানাহানি শুরুর পর থেকে ক্রমশ যেভাবে পেট্রোল-ডিজেল নিজের উত্তাপ বাড়িয়েছে, তাতে বহু ক্রেতা প্রথাগত জ্বালানির যানবাহন কেনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে কার্যত বাধ্য হয়েছে। পাশাপাশি ইদানিং যে হারে ভারতে বিভিন্ন সংস্থার ইলেকট্রিক বাইক ও স্কুটার লঞ্চ হচ্ছে, তাতে করে প্রথাগত জ্বালানির মডেল হিসেবে টিকে থাকা একটু চাপের।

কাঁচামালের খরচ বৃদ্ধির কারণে সংস্থাগুলি ভারতে তাদের টু-হুইলারের দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। বেচাকেনায় যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে বেশি থেকে কম, সব ধরনের দামের বৈদ্যুতিক টু-হুইলার উপলব্ধ। এটিও বিক্রি কমার অপর একটি কারণ হতে পারে। তাছাড়া হালে বাজাজ ১৫০ সিসি সেগমেন্টে মনোনিবেশ করেছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে নিত্যদিন চলাফেরার জন্য এই গোত্রের বাইক অনেকেই কেনেন না।