Electric Car কেনার সামর্থ না থাকলেও টাকা দেবে সরকার, 2767 কোটি টাকার ইনসেন্টিভ ঘোষণা এই দেশে

“পরিবেশ দূষণ” নামক এই ভয়ঙ্কর অভিশাপকে চিরতরে বিদায় দেওয়ার লক্ষ্যে সমগ্র বিশ্ব আজ এককাট্টা। বিশ্ব উষ্ণায়ন এর কুপ্রভাবে আজ জর্জরিত বিশ্বের প্রতিটি দেশ। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর লক্ষ্যে আজ সমস্ত দেশ নতুন নতুন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। নিউজিল্যান্ড তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০৩০-এর মধ্যে ছোট গাড়ির ৩০ শতাংশ এবং ২০৫০ সাল নাগাদ তাদের সমস্ত গাড়িকে বৈদ্যুতিকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ড সরকার ৩৫৭ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৭৬৭ কোটি টাকা। দেশের নিম্নআয়ের পরিবারগুলিকে তাদের পুরনো জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি বদলে বৈদ্যুতিক বা হাইব্রিড গাড়ি কেনার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে ওই অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডেন (Jacinda Ardern) এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, “সমুদ্রের জল বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ চিন্তিত আমরা। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত তারা এই বিষয়কেই প্রাধান্য দেবে সরকার। নিউজিল্যান্ডের পরিবহন মন্ত্রী মিচেল উড (Michael Wood)-এর কথায়, “পরিবহন ব্যবস্থাকে আরো বেশি করে পরিবেশবান্ধব করে তোলার জন্য অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবে প্রশাসন‌।”

বৈদ্যুতিন যানবাহন জনপ্রিয় করতে নিউজিল্যান্ড সরকার আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে যেমন পর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশনের পরিকাঠানো নির্মাণে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে, তেমনই কম দূষণ সৃষ্টি করে এমন গাড়ি কিনতে উৎসাহ দিতে ডিসকাউন্টের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, একই পথ অনুসরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশও আগামী দিনে বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে রোডম্যাপ তৈরি করছে।

প্রসঙ্গত, বায়ুদূষণে মুখ্য ভূমিকা পেট্রল-ডিজেল চালিত যানবাহনের। জ্বালানি তেলে চলা গাড়ির মতো বৈদ্যুতিক গাড়িতে কোনও পাইপ থাকে না। ফলে ধোঁয়া নির্গত হয় না৷ সরাসরি পরিবেশকে দূষিত করে না। এই কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন দেশ।