‘যে রাঁধে সে চুল-ও বাঁধে’, Tata Motors এর সব বড় গাড়ি তৈরি হচ্ছে নারীদের হাতে

কথায় আছে, “যে রাঁধে, সে চুল-ও বাঁধে!” বর্তমান যুগের মহিলাদের ক্ষেত্রে এই প্রবাদ বাক্যটি সর্বতোভাবে মানানসই। কারোর মা, স্ত্রী বা বোন হিসেবে তাঁরা যেমন সংসারের হাল ধরে রাখেন। একইসাথে তথাকথিত পুরুষদের কাজও সমান দক্ষতায় সামলাতে জানেন এ যুগের নারীরা। জানলে অবাক হবেন, দেশের অন্যতম বৃহত্তম যাত্রীগাড়ি নির্মাতা টাটা মোটরস (Tata Motors) তাদের কারখানায় দুই জনপ্রিয় এসইউভি অ্যাসেম্বেল করার দায়িত্ব মহিলাদের কাঁধের উপর সপে দিয়েছে। বর্তমানে ১,৫০০ জন মহিলার একটি দল সংস্থাটির দুই বড় গাড়ি Tata Harrier ও Safari নির্মাণের দায়িত্বে।

টাটা মোটরস প্রতি মাসে গড়ে গাড়ি দুটির দু’হাজার ইউনিট বিক্রি করে। এদিকে সম্প্রতি গুজরাতে সংস্থাটি ফোর্ড (Ford)-এর কারখানার মালিকানা গ্রহণ করেছে। আগামী বছর থেকে এটি সম্পূর্ণ মহিলা কর্মচারীদের দ্বারা পূর্ণ উদ্যমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে টাটার। এমনকা কয়েক সপ্তাহ আগে এমজি মোটর (MG Motor) তাদের ভাদোদরার কারখানায় মহিলা কর্মীদের হাতে তৈরি Hector-এর ৫০,০০০ তম মডেলটি অ্যাসেম্বলি লাইন থেকে বের করেছে।

এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংস্থাটির বক্তব্য, এই উদ্যোগ নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভাদোদরার কারখানায় সিট মেটাল প্রেস থেকে শুরু করে ওয়েল্ডিং ও পেইন্টিংয়ের কাজও সামলান মহিলারা। এমনকি গাড়ি তৈরির পর সেগুলির ট্রায়াল দৈন তাঁরাই। এদিকে গতমাসে টাটা তাদের তিনটি এসইউভি Nexon, Harrier ও Safari-র Jet Edition মডেল লঞ্চ করেছে। এদের দাম যথাক্রমে ১২.১৩ লক্ষ টাকা, ২০.৯০ লক্ষ টাকা ও ২১.৩৫ লক্ষ টাকা।

Tata Safari ও Harrier Jet Editions হাইলাইট

সেফটি ফিচারের মধ্যে এদের টপ এন্ড ভার্সন XZ+ -এ রয়েছে ড্রাইভার ড্রাউজিনেস অ্যালার্ট, প্যানিক ব্রেক অ্যালার্ট ও ইম্প্যাক্ট ব্রেকিং অ্যালার্ট, ইউএসবি সি-টাইপ চার্জার, সাফারিতে নতুন হেডরেস্ট, চার চাকায় ডিস্ক ব্রেক, ওয়্যারলেস চার্জার এবং ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক।

স্পেসিফিকেশনের মধ্যে গাড়ি দুটিতে আগের মতোই ২.০ লিটার ডিজেল ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। ১৭০ এইচপি ক্ষমতার ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত ৬-স্পিড ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক গিয়ারবক্স। অন্যদিকে Nexon-এর ১.২ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন থেকে ১২০ এইচপি আউটপুট পাওয়া যায়। আবার ১.৫ লিটার ডিজেল ইঞ্জিন থেকে ১১০ এইচপি শক্তি উৎপন্ন হয়।