Two Wheeler GST: দু’চাকায় জিএসটি কমাতে পারে কেন্দ্র, এবার কি সস্তা হবে বাইক-স্কুটার?

করোনার পর থেকেই ধুঁকছে দেশের দু’চাকা গাড়ি শিল্প। চাহিদা ফিরে বিক্রি কিছুটা বাড়লেও তা ২০১৯ সালের পর্যায়ে এখনও পৌঁছতে পারেনি। যন্ত্রাংশের দাম বাড়ার ফলে বিগত ক’মাস ধরে বিভিন্ন মডেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে নির্মাতারা। ফলে গ্রামীণ চাহিদা একেবারে তলানিতে। নাকানিচুবানি খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের। এই পরিস্থিতিতে টু-হুইলার শিল্পকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে দেশের গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন ফাডা জিএসটি (GST) কাউন্সিলের কাছে মোটরসাইকেল ও স্কুটারের উপর আরোপিত জিএসটির পরিমাণ হ্রাস করার আর্জি জানিয়েছে।

দু’চাকার গাড়িতে জিএসটি-র পরিমাণ কমানোর আবেদন জানালো FADA

টু-হুইলারে বর্তমানে ২৮ শতাংশ জিএসটি চাপিয়ে থাকে সরকার। যা কমিয়ে সত্বর ১৮ শতাংশ করার দাবি করেছে সংগঠনটি। এক বিবৃতিতে ফাডা জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য দেশে বিক্রিত যে কোনো টু-হুইলার অধিক সাশ্রয়ী করে তোলা। যাতে চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই বিক্রি বৃদ্ধি পাবে। ফলে করোনার কারণে ব্যবসায় যে মন্দা দেখা গিয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে পারবে সংস্থাগুলি।

ফাডা সূত্রে জানানো হয়েছে যে, সংগঠনটি জিএসটি শুল্কের পরিমাণ কমানোর এই আর্জি তারা দেশের অর্থমন্ত্রী, জিএসটি কাউন্সিল, জিএসটি কাউন্সিলের সকল সদস্য, ভারী শিল্প মন্ত্রক এবং সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের কাছে পেশ করেছে।

বিগত কয়েক বছরে টু-হুইলারের দামে নিরন্তর ঊর্ধ্বগতি দেখেছে সকল দেশবাসী। দাম বাড়ানোর পেছনে কোম্পানিগুলির সাফাই – কাঁচামালের খরচ বৃদ্ধি, নির্গমন বিধির কড়াকড়ি এবং বিভিন্ন শুল্ক বেড়ে যাওয়া। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ২০১৬ সালে হোন্ডা অ্যাক্টিভা (Honda Activa)-র দাম যেখানে ৫২,০০০ টাকা ছিল, ২০২৩-এ তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮৮,০০০ টাকা। মূল্য বৃদ্ধির এই পরিমাণ আমজনতাকে সত্যিই ভাবাচ্ছে।

একইভাবে Bajaj Pulsar যেখানে ২০১৬-তে ৭২,০০০ টাকায় বিকোতো, সেখানে এর বর্তমান বাজার মূল্য দ্বিগুনেরও বেশি হয়েছে, যা ১,৫০,০০০ টাকা। এই প্রসঙ্গে ফাডা-র বক্তব্য, মূল্য বৃদ্ধির কারণে চাহিদায় ঋণাত্মক প্রভাব পড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬-তে এদেশে বিক্রি হওয়া মোট যানবাহনের মধ্যে টু-হুইলারের পরিমাণ ছিল ৭৮ শতাংশ। ২০২৩-এ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ শতাংশে।