2017-এর পুনরাবৃত্তি কি আবার? স্যামসাংকে হঠিয়ে ফের নম্বর ওয়ান হওয়ার লক্ষ্যে Xiaomi

শাওমি (Xiaomi) ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি মার্কেট শেয়ার দখল করে স্যামসাং (Samsung)-কে প্রথম স্থান থেকে হঠিয়ে ভারতের এক নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিল। তারপর বেশ কয়েক ত্রৈমাসিক ধরে কোম্পানিটি মিড-রেঞ্জ এবং বাজেট সেগমেন্টে একাধিক শক্তিশালী স্মার্টফোন লঞ্চ করে দেশের বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রেখেছিল৷ তবে, অন্যান্য ব্র্যান্ডের সাথে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা এবং রিয়েলমি (Realme) ও আইকো (iQOO)-এর মতো নতুন ব্র্যান্ডগুলির উত্থানের সাথে, শাওমি ধীরে ধীরে ভারতের বাজারে তাদের আগের আধিপত্য হারিয়ে ফেলেছে। আর তাই বাজার দখলে কোম্পানিটি তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। গত আর্থিক ত্রৈমাসিকে যার প্রভাব সুস্পষ্ট। শাওমি কীভাবে ভারতে তাদের মার্কেট শেয়ার পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Xiaomi ভারতে স্মার্টফোনের জন্য ১৫,০০০ টাকার ক্যাটাগরিতে পুনরায় মনোনিবেশ করেছে

শাওমি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট মুরালিকৃষ্ণান বি, সম্প্রতি ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আগামী মাসগুলির জন্য কোম্পানি কি কি স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেছে – তা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন যে, শাওমি তার গ্রাহকদের আস্থা জয় করতে বিশেষভাবে আগ্রহী এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টিকেই তাদের বাজার শেয়ারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে।

সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন লঞ্চের জন্য কোম্পানিটি ১৫,০০০ টাকার সাব-সেগমেন্টে ফোকাস করেছে। মুরালিকৃষ্ণান বলেছেন যে, শাওমির নতুন এই স্ট্র্যাটেজি গত নয় মাসে ইতিবাচক ফলাফল দেখিয়েছে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে, শাওমি ২০২১-২২-এর মধ্যে অনেক বেশি ফোন লঞ্চ করে ভুল করেছে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পোর্টফোলিওকে নতুন করে সাজানো শাওমিকে হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে সাহায্য করেছে। প্রসঙ্গত, বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে স্যামসাংয়ের পরেই শাওমি দেশের দ্বিতীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের জায়গা দখল করেছে।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের ডিরেক্টর তরুণ পাঠকের মতে, শাওমি তার পোর্টফোলিওর ভুলত্রুটি বুঝে সেগুলি সংশোধন করছে। কোম্পানিটি গত জুন মাসে Redmi 12 সিরিজ বাজারে নিয়ে এসেছিল, যা সফল প্রমাণিত হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী শাওমি সেভাবে ফোনের সরবরাহ করতে পারেনি। অন্যথায়, কোম্পানিটি সহজেই বাজারে তাদের শীর্ষস্থান ফিরে পেত।

শাওমি ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট এও স্বীকার করেছেন যে, এদেশে কোম্পানির আসল ভিত্তি হল এন্ট্রি লেভেল থেকে মিড-রেঞ্জের স্মার্টফোন।, তিনি যোগ করেন, শাওমি ২৫,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকার সেগমেন্টে একটি প্রিমিয়াম পোর্টফোলিও তৈরি করতে আগ্রহী। শাওমি বিশ্বাস করে যে, স্মার্টফোনের বাজারে দামের সব সেগমেন্ট সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যানালিস-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে শাওমির মার্কেট শেয়ার ৩০% থেকে কমে মাত্র ১৫% হয়েছে৷ তবে, কোম্পানিটি গত ৬ মাসে বিক্রয় সংখ্যায় উন্নতি দেখিয়েছে, যা তার শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেয়৷ বি মুরালিকৃষ্ণান বলেছেন, তিনি ভারতে স্মার্টফোন বাজারের বৃদ্ধি সম্পর্কে আশাবাদী এবং শাওমিও এতে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে।