4G নেটওয়ার্ক চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এবার BSNL

গত কয়েক মাস ধরে শোনা যাচ্ছে ভারত সরকারের অধীনস্ত টেলিকম সংস্থা ‘ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড’ বা বিএসএনএল (BSNL), 4G নেটওয়ার্কের হাত ধরে কামব্যাক করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই তারা ETG এবং DoT এর থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছে। এবার ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারত জুড়ে ৫০,০০০টি সাইটে, BSNL তাদের নতুন হাইব্রিড 4G পরিকল্পনাকে রোল আউট করার উদ্দেশ্যে, PMO বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছে।

BSNL এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের পরিকল্পিত এই হাইব্রিড 4G কার্যসূচীর ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রণালীকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, পার্ট-এ বা প্রথম ভাগের টেন্ডারের অধীনে ভারতীয় সংস্থাগুলির জন্য ৫৭,০০০ টি সাইট সংরক্ষিত থাকবে। পার্ট-বি বা দ্বিতীয় ভাগের স্ট্যান্ডার্ড টেন্ডারে, বাকি থাকা ৫০,০০০ টি সাইটে সরকারের “বিশ্বস্ত” তালিকাভুক্ত যে কোনো সংস্থা অংশ নিতে পারবে।

ETG এবং DoT -এর তরফ থেকে হাইব্রিড 4G কার্যসূচীতে ইতিমধ্যেই সম্মতি পেয়েছে বিএসএনএল :

আগেই জানিয়েছে যে, সংস্থাটি বহু সময় ধরে তাদের ফোরজি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে জোর কদমে লেগে পড়েছে। সেক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, এমপাওয়ার্ড টেকনোলজি গ্রুপ (ETG) এবং টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর (DoT) উভয়ের তরফ থেকে বিএসএনএল ইতিমধ্যেই তাদের হাইব্রিড 4G কার্যসূচী নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুমোদন পেয়ে গেছে।

কবে চালু হচ্ছে বিএসএনএল -এর হাইব্রিড 4G পরিষেবা ?

হাইব্রিড 4 জি কার্যসূচীর ওপর অনেকটাই BSNL এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করায়, তারা টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর (DoT) -কে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিকল্পনাটিকে রোল-আউট করার অনুরোধ জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে, স্থানীয় সংস্থাগুলির দ্বারা 4G ট্রায়ালগুলিকে যদি সফল ভাবে চালনা করা সম্ভব হয়, তাহলে আগামী ১০ মাসের মধ্যেই বিএসএনএল 4G পরিষেবা চালু করার আশা রাখছে। তদ্ব্যতীত, পিওসি তৈরি করতে যদি স্থানীয় সংস্থাগুলির অতিরিক্ত আরো ৪ মাস লাগে, তবে পরিষেবাটি চালু হতে মোট ১৪ মাসও লেগে যেতে পারে। সুতরাং, সংস্থাটির মতে, ভারতীয় সংস্থাগুলির পিওসি তৈরী করার সময়ের ওপর নির্ভর করছে, দেশে কবে 4G রোল-আউট হবে।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন