গাড়ি সংস্থা আপনাকে দেবে 32 লক্ষ টাকা, পাহাড়ি রিসর্টে থাকা ও ঘোরার খরচ, কাজ একটাই

গাড়ি সংস্থাগুলি নানা সময়েই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিভিন্ন রকম পন্থা অবলম্বন করে। অনেক সময় দেখা যায় নতুন কোনো মডেল লঞ্চের আগে গ্রাহকদের মধ্যে জল্পনা উস্কে দেওয়ার জন্য ফার্স্ট লুক প্রকাশ। এর ফলে সেই সমস্ত গাড়িগুলি লঞ্চ হওয়ার আগেই তা নিয়ে সর্বসাধারণের মধ্যে উচ্ছ্বাস উন্মাদনার পাহাড় জমে যায়। আর এই কাজে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে Stellantis এর অধীনে থাকা জনপ্রিয় এসইউভি নির্মানকারী সংস্থা Jeep।

সংস্থার আপকামিং ইলেকট্রিক এসইউভির নাম হলো Wagoneer S। মজার বিষয় হল এই গাড়িটির আরও ভাল নামকরণ ইচ্ছুক জিপ। আর এই কাজটির দায়িত্বই অর্পণ করা হয়েছে জনসাধারণের উপর। সংস্থার তরফে ঘোষনা করা হয়েছে যে ২৩ শে নভেম্বর থেকে ২রা ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত গ্রাহকগণ তাদের পছন্দমত এই এসইউভি গাড়িটির নামকরণ করতে পারেন। বিজয়ীকে ৪০ হাজার ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩২.৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই এর জন্য আলাদা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাম জমা নেওয়ার কাজটি শুরু করা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই এইরকম আকর্ষণীয় উদ্যোগে নিয়ে গোটা বিশ্বেই একরকম শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে Jeep জানিয়েছে যে এই ইলেকট্রিক গাড়িটির নাম হতে হবে ৫০টি অক্ষরের মধ্যেই। এমনকি প্রতিযোগিতায় যিনি বিজেতা হবেন তাকে পুরস্কার হিসেবে পাহাড়ি রিসোর্টে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে। প্যাকেজের মধ্যে থাকবে বিমান ভাড়া ও থাকা-খাওয়া সংক্রান্ত সমস্ত কিছুই এবং রিটেল স্টোর থেকে কেনাকাটার জন্য প্রায় লাখ টাকার গিফট কার্ড। তবে মনে রাখতে হবে প্রতিযোগীকে কেবলমাত্র আমেরিকার বাসিন্দা হতে হবে।

Wagoneer S-এর প্রসঙ্গে বলতে গেলে Jeep এর তৈরি এই ইলেকট্রিক এসইউভি গাড়িটি আগামী বছরেই লঞ্চ হতে চলেছে। এছাড়াও, সংস্থার তৈরি আরও একটি ব্যাটারি চালিত এসইউভি মডেল Recon সম্পূর্ণভাবেই তাদেরই গাড়ি Wrangler থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালে আমেরিকার মাটিতে পা রাখবে Recon ও Wagoneer S।

Wagoneer S গাড়িটির বুকিং ২০২৩-র শুরু থেকেই চালু হয়ে যাবে। এর থেকে বোঝা যায় যে এটি ২০২৩-র মধ্যেই লঞ্চ হতে চলেছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা CES ইভেন্টে দেখা মিলতে পারে এই ব্যাটারি চালিত এসইউভি গাড়িটির। Wagoneer S গাড়িটির স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বলতে গেলে এটি Jeep এর নিজস্ব তৈরি STLA আর্কিটেকচারের উপরেই নির্মিত। এই গাড়িটিতে রয়েছে ৬০০ হর্সপাওয়ার ক্ষমতাযুক্ত বৈদ্যুতিক মোটর যা মাত্র ৩.৫ সেকেন্ডে ০-৯৬ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ তুলতে সক্ষম। এছাড়াও এই মডেলটি থেকে ৬৫০ কিমি পর্যন্ত রাইডিং রেঞ্জ মিলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *