Top 5 Fuel Saving Tips: বাইক বা স্কুটারে পেট্রল খরচ কমাতে এই পাঁচ টিপসের বিকল্প নেই

যারা নিত্যদিন দু’চাকায় দূর দূরান্তে যাতায়াত করেন, তাদের আয়ের বেশ কিছুটা বেড়িয়ে যায় তেল ভরতে‌। এখন কিছুটা স্থিতিশীল হলেও অগ্নিমূল্য পেট্রলের দামের ঝাঁঝ ভালই অনুভব করছে আমজনতা‌। তবে মোটরসাইকেল ও স্কুটার ব্যবহারকারীরা কয়েকটি সহজ টিপস মেনে চললে সহজেই জ্বালানি খরচ একধাক্কায় কমিয়ে আনা সম্ভব। পেট্রল সাশ্রয় করে মাইলেজ বাড়াতে পারে এমন পাঁচটি সেরা টোটকা আজকের প্রতিবেদনে রইল।

১. সমবেগ বজায় রাখা

সবচেয়ে সহজতর উপায় হলো এটি। আমরা যখন বাইক কিংবা স্কুটি চালাই তাকে নির্দিষ্ট একটি গতিতে চালাতে পারলে ইঞ্জিনের উপর যেমন স্ট্রেস কম পড়ে তেমনিই জ্বালানি খরচও হয় কম। আসলে থ্রটলের সঙ্গে ইঞ্জিনে পেট্রোলের জোগান বাড়া ও কমা নির্ভর করে। তাই আচমকা গতি বাড়ানো কিংবা কমানো থেকে বিরত থাকাই ভালো।

২. চাকায় সঠিক হাওয়া বজায় রাখা

জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা অনেকেরই হয়তো অজানা। প্রত্যেক বাইক বা স্কুটার এর সঙ্গে থাকা ম্যানুয়াল বুকে নির্ধারিত করা থাকে তার চাকার সঠিক হাওয়ার পরিমাণ। টায়ার প্রেসার যথাযথ থাকলে চাকা অনেকটা বাধাহীন ভাবে রাস্তায় চলতে পারে। ফলে জ্বালানির খরচ যেমন কমে, তেমনই চালাতেও যথেষ্ট সুবিধা অনুভূত হয়।

৩. ট্রাফিক সিগনালে ইঞ্জিন বন্ধ রাখা

ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইঞ্জিন বন্ধ রাখার সু-অভ্যাসটি আজ থেকেই শুরু করুন। এটা অনেকটা “বিন্দু বিন্দু করে সিন্ধু” তৈরির মত। সারাদিনে অসংখ্য বার সিগনালে এইভাবে ইঞ্জিন বন্ধ রাখার ফলে আমাদের অজান্তেই বেশ খানিকটা জ্বালানির সাশ্রয় তো হয় বটেই। তাছাড়া আজকাল বেশিরভাগ বাইকেই ইঞ্জিন চালু ও বন্ধ করার সুইচ দেওয়া হয় এই উদ্দেশ্যেই।

৪. সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা

মনে রাখবেন আপনার সাধের বাইক কিংবা স্কুটারটির নির্দিষ্ট সময় অন্তর সঠিকভাবে সার্ভিসিং করানো উচিত। তার ফলে ইঞ্জিন, চাকা, ব্রেক, চেইন এগুলি সঠিকভাবে তাদের কার্যসম্পন্ন করতে পারে। ফলে মাইলেজ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায়। এর পাশাপাশি ইঞ্জিন অয়েল, ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখার ফ্লুইড, ব্রেক ফ্লুইড ইত্যাদি সঠিক সময় অন্তর বদল কড়াই শ্রেয়।

৫. ধোঁয়া পরীক্ষা করা

আমরা সকলেই জানি মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অন্তর যে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি কিংবা বাইকের ক্ষেত্রে ধোঁয়া পরীক্ষা করানোটা বাধ্যতামূলক। আসলে এর ফলে ইঞ্জিন সঠিকভাবে কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে পারছে কিনা তা বোঝা সম্ভব। পাশাপাশি ইঞ্জিনের স্পার্ক প্লাগটিকে যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখা উচিত। এতে থাকা ইলেক্ট্রোডের নির্দিষ্ট গ্যাপ বজায় রাখাটা আবশ্যক। উপরন্তু কার্বোরেটর চালিত ইঞ্জিন হলে সেক্ষেত্রে কয়েক মাস অন্তর দক্ষ মেকানিক দিয়ে তা টিউন করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

উপরে উল্লেখিত এই কয়েকটি বিষয় নজর দিতে পারলেই জ্বালানি সাশ্রয় করার পাশাপাশি অর্থের সাশ্রয় করাও সম্ভব হবে।