পুরোপুরি চার্জে 130 কিমি, চারটি ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে এল Quantum Energy, পুজোর সময় লঞ্চ

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলারের দুনিয়ায় আরও এক নতুন অংশগ্রহণকারীর আগমন ঘটতে চলেছে। হায়দ্রাবাদের স্টার্টআপ সংস্থাটির নাম কোয়ান্টাম এনার্জি (Quantum Energy)। তারা এদেশে উন্নত প্রযুক্তির উচ্চগতির ইলেকট্রিক্স স্কুটার নিয়ে আসতে কোরিয়ার সংস্থা এমবিআই কোরিয়া (MBI Korea)-র সাথে ইতিমধ্যেই গাঁটছড়া বেঁধেছে। পাশাপাশি কোয়ান্টাম এনার্জি তাদের একসাথে চারটি উচ্চগতির ইলেকট্রিক স্কুটার দেখালো আজ। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে যেগুল ভারতীয় প্রযুক্তিতে দেশের মাটিতেই তৈরি করা হয়েছে। স্কুটারগুলির নাম রাখা হয়েছে Plasma EV, Elektron, Milan ও Bziness।

Quantum Plasma EV

এই বৈদ্যুতিক স্কুটারে দেওয়া হয়েছে একটি ১.৫ কিলোওয়াট মোটর। যা Plasma EV-কে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি গতিবেগ তুলতে সাহায্য করবে। সংস্থার দাবি স্কুটারটি পুরোপুরি চার্জে অনায়াসে ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার পথ চলতে পারবে। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শহুরে রাস্তায় চলাচলের উপযোগী মডেলটি আনতে চলেছে কোয়ান্টাম।

Quantum Elektron ও Milan

Elektron একটি ১ কিলোওয়াট মোটরের সাথে হাজির হবে। ০-৪০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ৮.৫ সেকেন্ডে তুলতে সক্ষম স্কুটারটি। ব্যাটারিতে ফুল চার্জ থাকলে এটি ৮০-৯৫ কিমি রেঞ্জ দেবে।  সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিমি। Elektron ও Milan কারিগরি দিক থেকে একই। কেবল ডিজাইনের পার্থক্য নজরে পড়েছে। দুটি ই-স্কুটারেই রয়েছে ভিন্ন রাইডিং মোড।

Quantum Bziness

এটি হল সংস্থার প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক স্কুটার। এতে থাকছে ১.২ কিলোওয়াট মোটর। সর্বোচ্চ গতিবেগ ৫০ কিমি/ঘন্টা। এক চার্জে Bziness ৮০-১০০ কিমি রেঞ্জ দেবে। এতে মিলবে একাধিক রাইডিং মোড।

প্রসঙ্গত, উপরের প্রতিটি মডেলে উপস্থিত অত্যাধুনিক লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। যেগুলি চার ঘন্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে বলে দাবি সংস্থার। এই কম সময়ে চার্জ হয়ে যাওয়া এবং বেশি রেঞ্জ প্রতিটি মডেলেই অফার করা হয়েছে। ফলে গ্রাহকদের কাছে এগুলি সমাদর পাবে বলেই আশা করছে সংস্থা। সূত্রের খবর চলতি বছরের পুজোর মরসুম অর্থাৎ অক্টোবরে লঞ্চ হতে পারে স্কুটারগুলি। দাম তখনই ঘোষণা করা হবে।

সংস্থার ডিরেক্টর চক্রবর্তী চাক্কুপাল্লি বলেন, “কোয়ান্টাম এনার্জির স্কুটারগুলি পারফরম্যান্সের সাথে কোনরকম আপস না করে উন্নত প্রযুক্তির দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। ভারতীয় বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য তৈরির জন্য লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।” তিনি যোগ করেন, “উচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ব্যাটারিতে রয়েছে স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সমতল রাস্তার পাশাপাশি এগুলি পাহাড়ি পথেও চলতে সক্ষম। একাধিক ডিজাইনের পেটেন্ট দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় রাস্তার অবস্থা অনুযায়ী কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে স্কুটারগুলি।”