NASA-র যন্ত্রে নতুন আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা, খোঁজ মিলছে ৪০০ পৃথিবীর সমান গ্রহের

দুর্বৃত্ত গ্রহ বা Rogue Planets গুলি, সাধারণ গ্রহগুলির মত নয়। আর এরা মহাকাশের কোনও নক্ষত্রের সাথে যুক্তও নয় এবং অন্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে কোনো কক্ষপথেও ঘোরে না।

NASA এবং জাপানের Osaka University-র বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে জানিয়েছেন যে, মার্কিন মহাকাশ সংস্থার ন্যান্সি গ্রেস রোমান স্পেস টেলিস্কোপ, ২০২৭ সালের মে নাগাদ লঞ্চ করা হতে পারে, যেটি প্রায় ৪০০টি পৃথিবীর ভরের (Earth Mass) সমান ভর বিশিষ্ট দুর্বৃত্ত গ্রহ বা Rogue
Planets সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

দুর্বৃত্ত গ্রহ বা Rogue Planets গুলি, সাধারণ গ্রহগুলির মত নয়। আর এরা মহাকাশের কোনও নক্ষত্রের সাথে যুক্তও নয় এবং অন্য নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে কোনো কক্ষপথেও ঘোরে না। সহজ ভাষায়, দুর্বৃত্ত গ্রহগুলি হল মুক্ত-ভাসমান গ্রহ যা একটি নক্ষত্রের মহাকর্ষীয় বলের সাথে আবদ্ধ নয়। মনে করা হয় মহাকাশে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকারী গ্রহগুলির চেয়ে অনেক বেশি দুর্বৃত্ত গ্রহ আছে।

মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্ট স্থিত নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের একজন সিনিয়র গবেষক ও বিজ্ঞানী এবং এই বিষয় সম্পর্কিত গবেষণাপত্রের একজন সহ-লেখক ডেভিড বেনেট বলেছেন, ” অনুমান করা হয় যে, আমাদের ছায়াপথে নক্ষত্রের চেয়ে ২০ গুণ বেশি দুর্বৃত্ত গ্রহ আছে, আর মহাকাশে ট্রিলিয়ন বিশ্ব একা ঘুরে বেড়ায়”। তিনি আরো জানান, এটা হলো দুর্বৃত্ত গ্রহর প্রথম আনুমানিক পরিমাপ, যার ভর পৃথিবীর ভরের সমান।

বিজ্ঞানীরা দূর্বৃত্ত তারা সম্পর্কে কি তথ্য খুঁজে পেয়েছেন?

এই দলটি আগেও নয় বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট জন ইউনিভার্সিটি অবজারভেটরিতে মাইক্রোলেনসিং অবজারভেশনস ইন অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (এমওএ) নামে গবেষণা করেছে।

এই বিষয়ে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেছেন, “মাইক্রোলেনসিং হল একমাত্র উপায় যা আমদের কম ভরের মুক্ত-ভাসমান গ্রহ এবং এমনকি আদিম ব্ল্যাক হোলের মতো বস্তুগুলি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, ” যে বস্তু গুলিকে আমরা সরাসরি কখনোই দেখতে পাবো না , মাধ্যাকর্ষণ ব্যবহার করে এমন বস্তুগুলির আবিষ্কার করা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।”