বন্ধুত্বের পাশাপাশি এবার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবে Facebook, আসছে অত্যাধুনিক স্মার্টওয়াচ
ভার্চুয়াল দুনিয়ায় একচ্ছত্র সম্রাট ফেসবুকের (Facebook) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে কোটি কোটি মেসেজ আদান-প্রদান, অগণিত ফটো-ভিডিও আপলোড এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তবে মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, ডিজিটাল দুনিয়ার বাইরে ফেসবুকের উপস্থিতি নিয়ে। শুধুমাত্র সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করেই ফেসবুক তার বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে চেয়েছিল এমন কিন্তু নয়। কনজিউমার হার্ডওয়্যারে বাজারকে একসময় পুঁজি করতে ব্যর্থ হলেও ফেসবুক কিন্তু কখনই হাল ছাঁড়েনি। প্রায় বছর সাতেক আগে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কোম্পানি অকুলাস (Oculus) কে আমরা ফেসবুক দ্বারা অধিগৃহীত হতে দেখেছিলাম। এরপর আবার ফেসবুক নিজস্ব ভিডিও-কলিং ডিভাইস তথা স্মার্ট ডিসপ্লে ‘পোর্টাল’ চালু করেছিল। এখন নতুন একটি রিপোর্ট বলছে, ফেসবুক স্মার্টওয়াচ (Smartwatch) সেগমেন্টে পা রাখার কথা চিন্তাভাবনা করছে। রিপোর্টটি আরও জানাচ্ছে, ফেসবুক তার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমের ওপর কাজ করছে। সুদূর ভবিষ্যতে যার ওপর ভিত্তি করে ফেসবুকের বানানো বিভিন্ন ডিভাইস চলবে।
ফেসবুকের স্মাটওয়াচের ফিচার
রিপোর্ট অনুযায়ী, Facebook এর আপকামিং স্মার্টওয়াচে হেলথ এবং ফিটনেস ফিচার সাপোর্ট থাকবে। সেইসঙ্গে স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে মেসেজ করার সুবিধা পাবেন। বাজারে উপলব্ধ সিংহভাগ নামী স্মার্টওয়াচে এখন হার্ট রেট মনিটারিং বলুন বা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপের জন্য সেন্সর স্টান্ডার্ড হিসেবে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে থাকে একাধিক স্পোর্টস মোড৷ তবে একধাপ এগিয়ে মেসেজিং ফিচার অর্ন্তভুক্ত করার মাধ্যমে ফেসবুক তার মেসেঞ্জার প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে অনুমান করা যায়।
অন্যদিকে, স্মার্টওয়াচে মেসেজিং সক্ষমতা প্রদান করার জন্য ফেসবুকের হোয়াটপঅ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আবার ফেসবুক এতে গুগলের WearOS-র মতো নিজস্ব স্মার্টওয়াচ ও উইয়্যারেবল ডিভাইস কেন্দ্রিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে।
পূর্বে ব্লুমবার্গের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল যে, পোর্টাল এবং অকুলাস ছাড়াও বিবিধ পরীক্ষামূলক কনজিউমার ইলেকট্রনিস্ক প্রকল্পের ওপর কাজ করার জন্য ফেসবুকের প্রায় ছ’হাজার কর্মচারী বর্তমান। Facebook নির্দিষ্টভাবে ভবিষ্যতে কী কী হার্ডওয়্যার বেসড প্রোডাক্ট আনতে চলেছে তা এখনও অস্পষ্ট। তবে বলা যায়, প্রোডাক্ট নির্বিশেষে ফেসবুকের উদ্দেশ্য ব্যবহারকারীদের সাথে ফেসবুকের অ্যালগরিদমের ইন্টারঅ্যাক্ট করানো, এবং অধিকতর পরিমানে ডেটা সংগ্রহ।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতের বাজারে পোর্টাল এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটির তেমন চল নেই। কিন্তু এদেশে স্মার্টওয়াচের উর্দ্ধমুখী জনপ্রিয়তা দেখে ফেসবুক একেই সম্ভাব্য পণ্য হিসেবে গণ্য করছে। যদিও ফেসবুকের তরফে বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়ালি কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে কে বলতে পারে, ভার্চুয়াল প্রোফাইল এবং বন্ধুত্বের খেয়াল রাখার পাশাপাশি একদিন আমাদের শরীরেরও খেয়াল রাখবে Facebook।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন