Live Audio Rooms: ফেসবুকের এই ফিচার ব্যবহার করলে পাওয়া যাবে ৩৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনের সুযোগ

আপনি কি Facebook ক্রিয়েটর? তবে আপনার কাজের জন্য Meta-র মালিকানাধীন এই সংস্থা আপনার হাতে ১০,০০০ থেকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ৭ লক্ষ – ৩৭ লক্ষ টাকা) পর্যন্ত পারিশ্রমিক তুলে দেবে। আজ্ঞে হ্যাঁ, নতুন ‘Live Audio Rooms’ ফিচারকে জনপ্রিয় করতে Facebook কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সদ্য সামনে আসা একটি রিপোর্টে একথা উল্লেখের পর ফেসবুক অনুরাগীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সাড়া পড়ে যায়। কিভাবে এই পারিশ্রমিক মূল্য জিতে নেওয়া যাবে তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আলোচ্য প্রতিবেদনে আমরা এই সংক্রান্ত প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

Live Audio Rooms ফিচার কি?

অনবগতদের জন্য বলে রাখা দরকার, ফেসবুকের লাইভ অডিও রুম ফিচারের মাধ্যমে একজন ইউজার তার পছন্দের ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্যদের সঙ্গে লাইভ আলোচনায় অংশ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বেরাও তাদের বন্ধু-বান্ধব ও অনুসরণকারীদের আলাপচারিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানোর সুযোগ পান। খুব বেশিদিন নয়, বরং চলতি বছরের জুন মাসে এই ফিচারটি সর্বপ্রথম জনসমক্ষে আসে। তারপর থেকেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এর জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

কারা পাবেন মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক?

রিপোর্ট অনুযায়ী, মেটা (Meta) গ্রুপের মালিকানাধীন ফেসবুকের সঙ্গে জড়িত প্রোডাকশন সংস্থাগুলি বর্তমানে একাধিক জনপ্রিয় শিল্পী, গায়ক ও সোশ্যাল মিডিয়া স্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যস্ত। লাইভ অডিও রুম ফিচারের জনপ্রিয়তা বাড়াতে তারা সঙ্গীতকার ও শিল্পীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর বিনিময়ে তাদের হাতে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক তুলে দেওয়া হবে বলে সংস্থাগুলি জানিয়েছে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পকেটে পুরতে আগ্রহী ক্রিয়েটরকে একাধিক (অন্ততপক্ষে ৪ – ৬টি) লাইভ অডিও রুম সেশন হোস্ট (Host) করতে হবে। সেদিক থেকে প্রতিটি সেশনের দৈর্ঘ্য সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট হওয়া বাঞ্ছনীয়।

উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে মেটা (Meta) গ্রুপের সিইও (CEO) মার্ক জুকারবার্গ প্রকাশ্যেই জানান যে, ২০২২ সালের মধ্যে ফেসবুক, ক্রিয়েটরদের হাতে তাদের কাজের মূল্য হিসেবে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে দেবে। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী TikTok -কে টেক্কা দিতে Instagram -এর পক্ষ থেকেও ‘Reel’ ভিডিও নির্মাতাদের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার ঘোষণা শোনা যায়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার মূল্য ৩৫,০০০ মার্কিন ডলার (প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা)।

উল্লেখ্য, ক্রিয়েটরদের উৎসাহ দিতে টিকটকের নিজস্ব ‘ক্রিয়েটর ফান্ড’ রয়েছে। আবার নিজেদের অডিও ফিচার ‘Spaces’ -এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য Twitter বেতন-ভিত্তিক অ্যাক্সেলেটর (Accelarator) প্রোগাম চালিয়ে থাকে।