এক চার্জে চলে 180 কিমি, মেড-ইন-ইন্ডিয়া ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল নিয়ে বড় আপডেট

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ টর্ক মোটরস (Tork Motors) ২০১৬ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল উন্মোচিত করেছিল। আর Kratos নামে গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বাইকটি লঞ্চ হয়েছে। জুলাইয়ে পুণে শহরে প্রথম ডেলিভারি দেওয়া হয় বাইকটির। এবারে মুম্বাইয়ের ক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে সে শহরে ডেলিভারি শুরু করল টর্ক। ই-বাইকটি দুটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ– Tork Kratos ও Kratos R। এদের দাম যথাক্রমে ১.২২ লক্ষ টাকা ও ১.৩৭ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে মোটরসাইকেলটি বুকিং করা যাচ্ছে।

জুলাইয়ে টর্ক তাদের Kratos মোটরসাইকেলের প্রথম ডেলিভারি পুণে শহরের শুরু করেছিল। এরপর জোগান-শৃঙ্খলের জটিলতা দেখা দেওয়ায় থমকে যায় ডেলিভারির প্রক্রিয়া। কিন্তু সেই পরিস্থিতি খানিক অনুকূল হতেই ফের গ্রাহকদের কাছে ব্যাটারি ভিত্তিক বাইকটি পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালু হল। এই প্রসঙ্গে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “পুজোর মরসুমে পরিবেশবান্ধব বাইকটির সাথে আলোর উৎসবে মেতে উঠতে এর ডেলিভারি শুরু করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, Tork Kratos-এ রয়েছে একটি ৭.৫ কিলোওয়াট ইলেকট্রিক মোটর, যা থেকে ৫.৩৬ বিএইচপি শক্তি এবং ২৮ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে Tork Kratos R-এ উপস্থিত ৯ কিলোওয়াট ইলেকট্রিক মোটরের আউটপুট ৬ বিএইচপি এবং ৩৮ এনএম। উভয় মোটরসাইকেলে দেওয়া হয়েছে একটি ৪ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক। যা সিঙ্গেল চার্জে ১৮০ কিমি রেঞ্জ তুলতে সহায়তা করবে।

এই প্রসঙ্গে টর্ক মোটরসের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কপিল শেলকে বলেন, “আমরা আমাদের সর্বাধুনিক মেড-ইন-ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট মুম্বাইয়ের গ্রাহকের ডেলিভারি করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। এই ব্যাচের মাধ্যমে আমরা পুণের পর নতুন ভৌগোলিক অঞ্চলের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যেতে পারবো।” তিনি জানান, চাকানের কারখানাটি একবার সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেলে দেশের আরও অন্যান্য শহরে তাঁদের এই মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে পারবেন। তিনি তাঁদের সকল গ্রাহককে শুভ দীপাবলি জানিয়েছেন।