Oben Rorr: পালসার-অ্যাপাচিরা বিপদে, 187 কিমি মাইলেজের দুর্ধর্ষ ই-বাইকের ডেলিভারি শুরু জুলাই থেকে

দেশীয় স্টার্টআপ সংস্থা ওবেন ইলেকট্রিক (Oben Electric) গত বছরের মার্চে তাদের প্রথম ই-বাইক, Rorr লঞ্চ করেছিল ভারতে। লঞ্চের পরই চালু হয়েছিল প্রি-বুকিং। দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস কেটে যাওয়ার পর অবশেষে সংস্থা ঘোষণা করেছে যে, আগামী জুলাই থেকেই বাইকটির ডেলিভারি দেওয়া শুরু হবে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এই কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। বেঙ্গালুরুতে ওবেন তাদের প্রথম আউটলেট থেকে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেবে নতুন ইলেকট্রিক বাইকের চাবি। ইতিমধ্যেই ওবেনের খাতায় প্রায় ২১,০০০ বুকিং জমে রয়েছে। তাই এই বিপুল সংখ্যক অর্ডার ডেলিভারি দিতে দেশের বিভিন্ন বড় শহরের ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ককে কাজে লাগানো হবে বলে সংস্থা সূত্রে ঘোষণা করা হয়েছে।

Oben Rorr ই-বাইকের ডেলিভারি জুলাই থেকে শুরু

সাবসিডি ধরে ওবেন রর ই-বাইকের এক্স শোরুম মূল্য ১.৫০ লাখ টাকা। প্রতিদ্বন্দ্বীদের তালিকায় রয়েছে Tork Kratos R, Hop Oxo, Revolt RV 400 সহ আরও অনেক ইলেকট্রিক বাইক। বাইকটির ডিজাইন এবং উৎপাদনের প্রায় ৯৫ শতাংশের বেশি কাজ সংস্থার নিজস্ব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেই করা হয়েছে, যা দেশীয় প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও, বাইকটির জন্য ২১টির বেশি পেটেন্ট নিয়েছে তারা।

Oben Rorr: স্পেসিফিকেশন ও ফিচার্স

Rorr-কে এগিয়ে চলার শক্তি সরবরাহ করে ১০ কিলোওয়াট আওয়ার পিএমএস মোটর। যা থেকে সর্বোচ্চ ১৩.৪ বিএইচপি ক্ষমতা উৎপন্ন হয়। মাত্র ৩ সেকেন্ডের মধ্যেই ০-৪০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ অর্জন করার ক্ষমতা রয়েছে। বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিমি। তবে এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো চার্জিং টাইম। মাত্র ২ ঘণ্টাতেই বাইকটিকে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া সম্ভব।এক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে সংস্থার নিজস্ব প্রস্তুত করা চার্জিং প্রযুক্তি।

কম সময়ে দ্রুত চার্জ দেওয়ার জন্য যেখানে সর্বত্রই ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সেখানে ওবেন ইলেকট্রিক নিজস্ব ফাস্ট হোম চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। ফলে ৪.৪ কিলোওয়াট আওয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারিটি হোম চার্জারের সাহায্যে মাত্র ১২০ মিনিটে পুরোপুরি চার্জ করা যাবে। সঠিক ড্রাইভিং কন্ডিশনে সম্পূর্ণ চার্জে বাইকটি ১৮৭ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারবে বলে দাবি করা হয়েছে।

এছাড়া, Oben Rorr এর সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও পিছনে মনোশক সাসপেনশন, উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল ব্যবহার করা হয়েছে। মোট তিনটি কালার স্কিমে উপলব্ধ এটি। সম্প্রতি ওবেন ইলেকট্রিক ৪০ কোটি টাকা লগ্নি সংগ্রহ করেছে। এই অর্থ কারখানার সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে। যার ফলে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে হবে ১ লক্ষ ইউনিট।

পাশাপাশি রিটেল এক্সপ্যানশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের জন্যেও ব্যবহার হবে এই অর্থ। ওবেন ইলেকট্রিক জানিয়েছে যে তারা ইতিমধ্যেই রিসার্চ এবং ডেভলপমেন্টের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা বাছাই করে রেখেছে যার মধ্যে তাদের পরবর্তী মডেলের প্রোটোটাইপ ভার্সন উন্নয়ন এবং পরীক্ষার সংক্রান্ত কার্যকলাপ সম্পাদন করা হবে। এটি ২০২৪ সালের মধ্যেই লঞ্চের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।