4G নিয়েই অভিযোগ, তবু জিও, এয়ারটেলের পর 5G ট্রায়ালের প্রস্তুতি ভোডাফোন-আইডিয়ার

4G নেটওয়ার্ক নিয়ে মানুষের মধ্যে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও দেশের প্রথম সারির টেলিকম অপারেটরেরা দ্রুত 5G চালুর ব্যাপারে জন্য প্রচেষ্টার কোন খামতি রাখছেনা। ইতিমধ্যে রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharati Airtel) সংস্থাদ্বয় পরীক্ষামূলকভাবে 5G ট্রায়াল রান শুরু করেছে। এক্ষেত্রে তারা অনেকটা এগিয়ে গেলেও, পিছিয়ে নেই দেশের অন্যতম বৃহৎ টেলকো ভোডাফোন-আইডিয়া লিমিটেড (Vodafone-Idea)। নোকিয়া (Nokia) এবং এরিকসনের (Ericsson) মতো জনপ্রিয় বিদেশী ভেন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে তারা সম্প্রতি 5G নেটওয়ার্কের পরীক্ষামূলক ট্রায়াল শুরু করেছে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবিন্দর টক্কর স্বয়ং এই বিষয়ে প্রযুক্তি মহলকে আশ্বস্ত করেছেন।

Vodafone Idea 5G ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুতি সারছে

5G ট্রায়ালের জন্য ভোডাফোন-আইডিয়া লিমিটেড বা সংক্ষেপে ভিআই (Vi) ভারতের আলাদা আলাদা স্থান বেছে নিয়েছে। এরা হলো যথাক্রমে – গুজরাটের গান্ধীনগর এবং মহারাষ্ট্রের পুণা। পরীক্ষামূলকভাবে 5G ট্রায়াল রানের জন্য তারা যে ইউরোপের দুই বৃহৎ প্রতিষ্ঠান নোকিয়া ও এরিকসনের সঙ্গে চুক্তি করেছে সে কথা তো আগেই বলেছি। এই ট্রায়ালের ক্ষেত্রে তারা যে খুব তাড়াতাড়ি সাফল্য লাভ করবেন সে ব্যাপারেও সংস্থার এমডি (MD) যথেষ্ট আশাবাদী।

5G নেটওয়ার্কের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তির দিক থেকে ভোডাফোন-আইডিয়া বা ভিআই বর্তমানে অনেকটাই সক্ষম। 4G পরিষেবার ক্ষেত্রে তারা NSA (non-standalone) নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। 5G পরিষেবার ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে সংস্থার প্রতিনিধিরা মনে করছেন। যদিও এই মুহূর্তেই তারা উল্লিখিত প্রযুক্তিটি ব্যবহার করবে কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

সংস্থার কর্মকর্তা রবিন্দর টক্কর খুব জলদি 5G সাফল্যের ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও, প্রকৃতপক্ষে ভোডাফোন-আইডিয়া (Vi) এই প্রকল্পের ভবিষ্যত রূপায়ণের ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। 5G নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার হাত ধরে আগামীতে তাদের ব্যবসা কিভাবে আরো ফুলেফেঁপে উঠতে পারে, সে বিষয়ে তারা যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করেই এগোচ্ছে। ফলে পরবর্তীকালে অনুরাগীরা সংস্থার পক্ষ থেকে ভালো পরিষেবার আশা করতেই পারেন।

সব ঠিকঠাক চললে হয়তো আগামী বছরেই দেশে 5G নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার যাত্রাসূচনা ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই এই 5G প্রযুক্তি সর্বসমক্ষে আসবে বলে একটি সংবাদ প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে। এমন ধরনের খবর নিয়ে চর্চা শুরু হওয়ার ফলে দেশের প্রযুক্তিপ্রেমীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে যত দ্রুত অগ্রগতি হোক না কেন, অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সর্বত্র 5G পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে একাধিক বাধা রয়েছে। যেখানে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ এখনো পর্যন্ত 4G ব্যবস্থার আওতাতেই আসতে পারেননি, সেখানে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে যে অসংখ্য মানুষের পক্ষে 5G পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব নয়, সেটা সকলেই বুঝতে পারছেন।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন