সারাবিশ্বে চাহিদা বাড়লো ভারতীয় স্মার্টফোনের, রেকর্ড সংখ্যক ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি

মাত্র কয়েক বছর আগেও, বিদেশ (মূলত চীন) থেকে মোবাইলসহ একাধিক বৈদ্যুতিন পণ্য ভারতে ব্যাপক হারে আমদানিকৃত হত। রফতানির কথা বললে, ওই সময়ে ভারত থেকে সীমিত সংখ্যায় স্মার্টফোন বা ইলেকট্রনিক্স বাইরে পাঠানো হত। কিন্তু সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির হাত ধরে গতবছর থেকে এই পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PIL) স্কিমের সাহায্যে অ্যাপলের মূল ম্যানুফ্যাকচার ফক্সকন, উইনস্ট্রন এবং স্যামসাংয়ের মতো গ্লোবাল এদেশে উৎপাদন বাড়াতে তৎপর হয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলিও নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে। যার ফলে বিশ্ববাজারে ভারতীয় স্মার্টফোন তথা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা বেশ বেড়েছে, অর্থাৎ বেড়েছে রফতানি।

ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক অ্যাসোসিয়েশন (ICEA)-এর গতকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভারত থেকে প্রায় ৮,৮০৬ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট রফতানি হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে মোবাইল ফোন। সংস্থার মতে, এই সময়ে ভারত থেকে প্রায় ৩,৬০১ কোটি টাকার স্মার্টফোন বাইরে গেছে যা, ২০১৯-এর ডিসেম্বরে রফতানি পরিসংখ্যানের তুলনায় প্রায় ৫০% বেশি।

ওই রিপোর্টের দরুন ICEA-এর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মাহিন্দ্রা বলেছেন যে, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের খাতে ২,০০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ হয়েছে। অন্যদিকে, গত অর্থবর্ষে মোট ৫০,০০০ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাপক চাহিদার জন্য শুধু মোবাইল-ই রফতানি হয়েছে ১৪,০০০ কোটি টাকার। অথচ, ওই সময়ে প্রায় ৪৫ দিনের জন্য মোবাইল ফোনের উৎপাদন বন্ধ ছিল; ব্যহত হয়েছিল মোবাইল ফোনের স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যবস্থাও।

ICEA দাবি করেছে যে সরকার নির্দিষ্ট কর বা শুল্কে ছাড় দেওয়ার ফলেই রফতানির হার এতটা বেড়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের নতুন RoDTEP (রেমিসন অফ ডিউটিস অ্যান্ড ট্যাক্সেজ অন এক্সপোর্টেড প্রোডাক্টস) স্কিমের সাহায্যে আগামী দিনে এই রফতানির পরিসংখ্যান আরো বাড়বে বলেই মনে করছে ICEA।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন