বেআইনি ভাবে চীনে পাঠানো হচ্ছে টাকা, Xiaomi, Vivo-র পর এবার‌ Huawei-র বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ

শাওমি (Xiaomi) ও ভিভো (Vivo) -র পর এবার আরেক চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা হুয়াওয়ে (Huawei) -এর বিরুদ্ধেও কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠলো। এর ফলে আলোচ্য সংস্থার উপর আয়কর দপ্তর বর্তমানে কড়া নজর রেখেছে। সাথে খতিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে Huawei -এর অ্যকাউন্ট সংক্রান্ত নথিপত্র। আর এই সব মিলিয়েই ভারতে চীনা সংস্থাগুলির ব্যবসা বজায় রাখা প্রতিনিয়তই দুষ্কর হয়ে উঠছে।

চুপিসাড়ে স্বদেশে অর্থ পাঠাচ্ছে Huawei? উঠছে অভিযোগ

আয়কর দপ্তরের অভিযোগ, বাড়তি করের বোঝা এড়িয়ে যেতে ভিভো’র (Vivo) মতো হুয়াওয়েও চুপিসাড়ে সামগ্রিক আয়ের বড় পরিমাণ অর্থ স্বদেশে অর্থাৎ চীনে প্রেরণ করেছে। এমনকি কর ফাঁকি দিতে সংস্থাটি নিজেদের আয় কম করে দেখিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে (ফেব্রুয়ারি) আয়কর দপ্তর হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের সূচনা করে। সেই সময় দপ্তরের পক্ষ থেকে চীনা কোম্পানির সাথে সম্পর্কিত একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। প্রায় একই সময়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED) বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ভিভোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, বর্তমানে যা নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হচ্ছে।

কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে চীনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক ভিভো যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে (মূলত, চীনে) পাচার করেছে, ঠিক তেমন করেই নিজেদের কম মুনাফার বছরেও হুয়াওয়ে আনুমানিক ৭৫০ কোটি টাকা স্বদেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বলে আই-টি (I-T) দপ্তর জানিয়েছে। যদিও হুয়াওয়ের তরফ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করা হয়েছে।

নিজেদের তরফ থেকে দায়ের করা একটি পিটিশনে হুয়াওয়ে জানিয়েছে যে আলোচ্য ক্ষেত্রে তারা কোনো বেআইনি কাজ করেনি। তৎসত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে তাদের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে আই-টি দপ্তর হুয়াওয়ে কর্তৃক এই পিটিশন দাখিলকে তেমন পাত্তা দিতে চায়নি।

পরিশেষে জানিয়ে রাখা জরুরি যে এখনও পর্যন্ত Huawei অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সমস্ত নথিপত্র আয়কর দপ্তরের (I-T) কাছে জমা করেনি। এর ফলে চীনা সংস্থাটির প্রকৃত আয় সম্পর্কে কোনো স্থির ধারণায় পৌঁছনো আয়কর দপ্তরের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি।