মার্সেডিজ, অডি-র মতো বড় বড় নামকে টেক্কা, দেশের বেস্ট সেলিং প্রিমিয়াম EV-র নাম চমকে দেবে

ইলেকট্রিক ভেহিকেলের চাহিদা আগের থেকে বেড়েছে একথা একেবারেই সঠিক। কিন্তু দামী বা বিলাসবহুল বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রিবাটার হাল কেমন, সেই নিয়ে নানা জনের নানান প্রশ্ন। হয়তো অনেকেই মনে করেন অল্পসংখ্যক এই জাতীয় গাড়ি বিক্রি হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, আপনিও যদি এমন ধারণা পোষণ করে থাকেন তবে ভুল ভাবছেন। কারণ প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক ভেহিকেল সেগমেন্টের অন্যতম জনপ্রিয় মডেল হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছে Hyundai Ioniq 5। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি মাসে গড়ে প্রায় একশোটি এই গাড়ি ভারতে বিক্রি হচ্ছে।

Hyundai Ioniq 5 কি ভারতের বেস্ট সেলিং প্রিমিয়াম EV

কেন এত জনপ্রিয়তা? কী রয়েছে এই Hyundai Ioniq 5-এ? চলুন তবে কোরিয়ার সংস্থার গাড়িটির বিভিন্ন খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক। গত বছর মডেলটি ‘ওয়ার্ল্ড কার অব দ্য ইয়ার’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে। এছাড়াও Ioniq 5-এর ঝুলিতে রয়েছে ইউরো এনক্যাপ (Euro NCAP)-এর ক্র্যাশ টেস্টে ৫-স্টার রেটিং। যা কিনা প্রশংসার দাবি রাখে।

অনন্য সুরক্ষা ফিচার হুন্ডাইয়ের এই ফ্ল্যাগশিপ মডেলটিকে বাজারের অন্যান্য গাড়ির থেকে আলাদা করেছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া’র মুখ্য পরিচালন আধিকারিক তরুণ গর্গ বলেন, গত ১৪ মাসে Ioniq 5 মডেলতির মোট ১৪,০০০ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১০০ ইউনিট বেচছে হুন্ডাই। গাড়িটির দাম ৪৫.৯৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। তিনি উল্লেখ করেন, চেন্নাইয়ের কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো, নতুন মডেল এবং ব্যাটারি প্যাক স্থানীয়করণের জন্য কোম্পানি ২৬,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে ২০২৫ থেকে ব্যাটারি ইলেকট্রিক ভেহিকেলের দাম কমবে বলেই ধারণা সংস্থার।

Hyundai Ioniq 5 : স্পেসিফিকেশন

ইলেকট্রিক গ্লোবাল মডিউলার প্ল্যাটফর্ম বা E-GMP আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে তৈরি Hyundai Ioniq 5 ও Ioniq 6। এতে রয়েছে একটি ৭২.৬ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক। চাকায় শক্তির সঞ্চার ঘটাতে উপস্থিত একটি ইলেকট্রিক মোটর, যা থেকে ১৬০ কিলোওয়াট এবং ৩৫০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। একটি ৩৫০ কিলোওয়াট ডিসি ফার্স্ট চার্জিং সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যাটারি ১৯-৮০% চার্জ ১৮ মিনিটে করা যায়। আবার সমপরিমাণ চার্জ হতে একটি ১৫০ কিলোওয়াট ডিসি ফাস্ট চার্জারে ২১ মিনিট সময় লাগে। ফুল চার্জে গাড়িটি ৬৩১ কিলোমিটার (ARAI সার্টিফায়েড) রেঞ্জ প্রদান করে বলে দাবি সংস্থার।