5G Auction: দশগুন দ্রুত ইন্টারনেট, Jio, Airtel, Vi এর হাত ধরে 5G কি কি পরিবর্তন আনবে দেখে নিন

গতকাল অর্থাৎ ২৬শে জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর বা DoT -এর তত্ত্বাবধানে দেশে নবপ্রজন্মের ৫তম প্রজন্মের সেলুলার নেটওয়ার্ক বা 5G স্পেকট্রাম নিলামের (Auction) কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। ভারতের প্রথমসারির তিনটি নেটওয়ার্ক প্রদানকারী সংস্থা Vodafone-Idea, Airtel এবং Reliance Jio -এর পাশাপাশি গৌতম আদানি মালিকাধীন সংস্থা Adani Data Networks Group -ও নিলামে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে এদেশের অন্যতম দুটি বৃহত্তম ব্যবসায়িক সংস্থার কর্ণধার আদানি ও আম্বানির মধ্যে আজকের নিলামে কে সর্বাধিক অগ্রাসী ভূমিকা পালন করতে চলেছে তা দেখতে মুখিয়ে আছে সকলেই। যদিও বাকি দুটি সংস্থাকেও হালকা ভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। যাইহোক, এই ‘নেক্সট জেনারেশন’ নেটওয়ার্কিং টেকনোলজির স্পেকট্রাম নিলামে যে সংস্থাই বিজয়ী হোক না কেন, তার সরাসরি প্রভাব ভারতীয় টেলিকম ব্যবস্থাই পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে, অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে যে 5G আসার পর দৈনন্দিন জীবনে কী নতুনত্ব দেখা যাবে? বা একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে প্রভাবিত হতে পারে 5G নেটওয়ার্কের আগমনের সাথে? এই সমস্ত প্রশ্নের সদুত্তর 5G পরিষেবা চালু হওয়ার পরেই শুধুমাত্র পাওয়া সম্ভব। তবে সম্ভাব্য কী কী পরিবর্তন দেখা যাবে সেই সম্পর্কে আমরা কিছু ধারণ দিতে পারি, যা আপনাদের কৌতূহলকে কিছুটা হলেও মেটাবে।

5G নেটওয়ার্কের আগমনের সাথে এই সকল অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যেতে পারে

এক দশক আগেও বেশিরভাগর মানুষ যেখানে ২জি বা ৩জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করত, সেখানেই ২০১৫ সাল নাগাদ ভারতে ৪জি নেটওয়ার্কের প্রবেশের পর ইন্টারনেট স্পিড একটা নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়। যার দরুন সাধারণ মানুষ ভিডিও কলিং এবং লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মতো হাই-স্পিডে চালিত ফিচার সামগ্রী উপভোগ করতে শুরু করেন। একইভাবে, পরবর্তী প্রজন্মের ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার পর আমরা এরূপ আরো অনেক নতুন পরিষেবা ব্যবহারের সুবিধা পাব বলে মনে করা হচ্ছে।

হাই-স্পিড অফার করবে 5G

৫জি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের ধারণাই হল, এটি ৪জি -এর তুলনায় অধিক দ্রুত ইন্টারনেট স্পিড অফার করবে। দেখতে গেলে, এই ধারণা সত্যও বটে। আর বর্তমান সময়ে যেভাবে প্রত্যেকটি মানুষ ভিডিও কলিং বা কনটেন্ট সার্ভিংয়ের মতো পরিষেবার প্রতি আসক্ত, তাতে হাই-স্পিড নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস করার লোভে অনেকেই সত্বর ৫জি -এর আনুষ্ঠানিক আগমনের প্রত্যাশা করছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ৪জি নেটওয়ার্কে আমরা যেখানে ১০০Mbps পর্যন্ত স্পিড পাই, সেখানেই ৫জি -তে Gbps স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ, ৫জি নেটওয়ার্ক ভিত্তিক ব্যান্ডগুলিতে ৪জি -এর থেকে ১০০ গুণ বেশি স্পিড পাওয়া যাবে।

আর স্পিড অধিক হওয়ার দরুন ব্যবহারকারীরা হাই-কোয়ালিটির ভিডিও, আল্ট্রা-হাই রেজোলিউশনে ভিডিও কলিং এবং অন্যান্য আরো অনেক সুবিধা পাবেন। সর্বোপরি, ৫জি অফিসিয়াল হলে আমরা শুধুমাত্র স্লো ইন্টারনেট স্পিড থেকে রেহাই পাবো না, সাথে টেকনোলজির অনেক নতুন মাত্রা আমাদের জন্য খুলে যাবে। যেমন, মেটাভার্সের মতো নতুন টেকনোলজি সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে।

ভালো নেটওয়ার্ক কভারেজ পাওয়া যাবে

৫জি আসার পর কলিং এবং কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা উন্মুক্ত হবে। এছাড়াও, পূর্বসূরি নেটওয়ার্ক প্রজন্মের তুলনায় ৫জি নেটওয়ার্কে আমরা আরও ভালো কলিং অভিজ্ঞতা পাব। সাথে কল ড্রপের মতো সমস্যাও হ্রাসপ্রাপ্ত হতে পারে। নব্য প্রজন্মের ৫জি ব্যবস্থার এই সকল ‘প্লাস পয়েন্ট’ এর কারণে টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের নেটওয়ার্ক পরিসর বাড়ানোর আরেকটি বিকল্প পাবে, বলে মনে করা হচ্ছে।

যাইহোক, ৫জি নেটওয়ার্ক চালু হতে এবং সর্বসাধারণের হাতে পৌঁছতে এখনো অনেক সময় লাগবে। বড় শহরগুলিতে এই প্রযুক্তি শীঘ্রই উপলব্ধ হবে, তবে গ্রামাঞ্চল ভিত্তিক বাসিন্দাদের অধিক সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।