5G Speed: চোখের পলকে সিনেমা থেকে গেম ডাউনলোড! 5G রোলআউট হলে এইভাবে বাঁচবে সময়

5G (৫জি) কবে আসছে – এই প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরে দেশের বহু মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে, আর তার মূল কারণ হল বিদ্যুৎ গতির ইন্টারনেট স্পিড উপভোগ করা। তবে এবার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে পারে বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে, কারণ এই মাসের শুরুতেই ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস বা DoT (ডট) জানিয়েছে যে চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে 5G পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; আর এর প্রথম ঝলকও দেখা গেছে গত বৃহস্পতিবার। এদিন আইআইটি মাদ্রাজে সফলভাবে দেশের প্রথম 5G কল করেছেন যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেইসাথে নেটওয়ার্কটিতে ভিডিও কলও টেস্ট করে দেখা হয়েছে।

এর আগে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি ৫জি নেট সার্ভিস টেস্ট করেছে এবং দুর্দান্ত সফলতাও পেয়েছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে ৫জি ট্রায়াল চালিয়ে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর ভোডাফোন আইডিয়া (Vodafone Idea) বা ভিআই (Vi) ৫.৯২ গিগাবাইট/সেকেন্ডের (Gbps) রেকর্ড ভাঙ্গা ডাউনলোড স্পিড প্রত্যক্ষ করেছে। ভিআই-এর পাশাপাশি জিও (Jio) এবং এয়ারটেল (Airtel)-ও ৫জি ট্রায়ালে ভালোরকম সাফল্য পেয়েছে। বলা হচ্ছে, ৫জি নেটওয়ার্কে ৪জি (4G)-র তুলনায় ১০০ গুণ বেশি স্পিড পাওয়া যাবে। ৪জি নেটওয়ার্কে যেখানে গ্রাহকরা ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড পেতেন, সেখানে ৫জি-তে ১০ জিবিপিএস পর্যন্ত দ্রুতগতির নেট সার্ভিস উপলব্ধ হবে। ফলে ইউজাররা যে এক দুর্দান্ত ব্যবহারিক এক্সপেরিয়েন্স অর্জন করতে সক্ষম হবেন, সেকথা বলাই বাহুল্য। এখন চলুন, পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্ক রোলআউটের সুবাদে ব্যবহারকারীরা ঠিক কী কী সুবিধা পেতে চলেছেন, সে সম্পর্কে গুটিকয়েক কথা জেনে নেওয়া যাক।

5G নেটওয়ার্কে মিলবে এই সমস্ত ফিচার

চোখের পলকে ডাউনলোড হবে সিনেমা

৫জি নেটওয়ার্কে মাত্র ৬ সেকেন্ডের মধ্যে একটি সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ৪জি নেটওয়ার্কে একটি মুভি ডাউনলোড করতে প্রায় ৭ মিনিট সময় লাগে। সেক্ষেত্রে ইউজাররা ৫জি-তে যদি একটি এইচডি কোয়ালিটির মুভিও ডাউনলোড করেন, তাহলেও তারা প্রায় ৭ মিনিট সময় সাশ্রয় করতে সক্ষম হবেন। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট লোডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায় ২ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় বাঁচানো যাবে। সেইসাথে বড়োসড়ো সাইজের গেমও এক চুটকিতেই ইনস্টল করতে পারবেন ইউজাররা।

প্রতি মাসে সাশ্রয় হবে এক দিন

পরিসংখ্যান বলছে যে, ইউজাররা 4G-তে বর্তমানে যে হারে গেম ডাউনলোড করেন, আর তাতে যে সময় লাগে, সেই একই গেম যদি 5G নেটওয়ার্কে ডাউনলোড করা যায় তাহলে গোটা মাসে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় বাঁচাতে সক্ষম হবেন ব্যবহারকারীরা। আবার, ১০,০০০ গানের একটি Spotify (স্পটিফাই) লাইব্রেরি ডাউনলোড করতে গেলেও 4G-র তুলনায় 5G-তে মাসে ৩ ঘণ্টা সময় কম লাগবে। সম্প্রতি HighSpeedInternet.com-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, 5G নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইউজাররা এক কিংবা দুই নয়, বরং সারা মাসে প্রায় ২৩ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় করতে পেরেছেন। অর্থাৎ সোজা কথায় বললে, 4G নেটওয়ার্কে কনটেন্ট ডাউনলোড করতে যা সময় লাগে, সারা মাসে 5G নেটওয়ার্কে সেই একই জিনিস ডাউনলোড করতে মোটামুটি একদিন সময় কম লাগবে।

ফলে খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, পরবর্তী প্রজন্মের নেটওয়ার্কের সহায়তায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং, অনলাইন গেমিং, মিউজিক স্ট্রিমিং এবং টিভি শো বা সিনেমা ডাউনলোড করলে ব্যবহারকারীরা মাসে প্রায় এক দিন সাশ্রয় করতে পারবেন, যা নিঃসন্দেহে অবিশ্বাস্য। যাইহোক, এবার কত তাড়াতাড়ি এই দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সার্ভিস আপামর জনগণের হাতের মুঠোয় আসে, এখন সেটাই দেখার…