9 Years of Digital India: ৯ বছরে ১১ কোটি কৃষককে পরিষেবা, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার হাত ধরে সফল ভারত

ডিজিটাল পরিকাঠামো, সাক্ষরতা এবং বিভিন্ন ধরণের পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ চালু করেছিল। ২০২৪ সালে এসে এই স্কিমের নয়…

ডিজিটাল পরিকাঠামো, সাক্ষরতা এবং বিভিন্ন ধরণের পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ চালু করেছিল। ২০২৪ সালে এসে এই স্কিমের নয় বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ বা ‘ডিজিটাল ভারত’ -এর অধীনে পরিচালিত কার্যকলাপের কারণে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি তথা ভারতের শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছে। এক্ষেত্রে বিগত ৯ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কোন কোন প্রজেক্টে হাত দিয়েছে এবং তার ফলাফল সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট সম্প্রতি সামনে এসেছে। আসুন এই রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

৯ বছরের মধ্যে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ স্কিমের আওতায় এই সকল কাজ করা হয়েছে :

১ . ১১ কোটিরও বেশি কৃষকদের কাছে এখন সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি, ১৩৭ কোটিরও বেশি আধার নম্বর ইস্যু করা হয়েছে। যার দরুন ধরেই নেওয়া যায় যে, প্রায় প্রত্যেক ভারতীয় বর্তমানে একটি করে ইউনিক ডিজিটাল পরিচয়পত্রের অধিকারী। মূলত, লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবা কম সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই উদ্দেশ্যেই আধার বন্টনের কাজ দ্রুততার সাথে করা হয়েছে৷

২ . ডিজিটাল ইন্ডিয়া স্কিমের অধীনে ডিজি-লকার চালু করা হয়েছে, যার অধীনে এখন পর্যন্ত ৬৭৪ কোটিরও বেশি নথি সেভ আছে। এক্ষেত্রে হিসাবের খাতিরে যদি ধরা হয় যে, প্রতিটি ডকুমেন্টে একটি করে পৃষ্ঠা আছে তাহলে উল্লেখিত পরিমাণ ডকুমেন্ট রাখার জন্য এতদিনে প্রায় ২৭ লক্ষ ফিজিক্যাল ক্যাবিনেট ড্রয়ার পূরণ হয়ে যেত। কিন্তু ডিজি-লকার চালু হওয়ার মাধ্যমে এখন সম্পূর্ণটা ডিজিটাল ডকুমেন্টেশনে পরিণত হয়েছে। যা ফিজিক্যাল স্টোরেজের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করেছে এবং ডকুমেন্টের উন্নত অ্যাক্সেসযোগ্যতা প্রদান করেছে।

৩ . ভারতনেট প্রকল্পের অধীনে ৬.৮৩ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন করা হয়েছে। যার দরুন ভারতের সংযোগ পরিকাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসারিত করা সম্ভব হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ফাইবার নেটওয়ার্ক এতটাই বিস্তৃত যে পৃথিবীকে ১৭ বার প্রদক্ষিণ করতে পারবে। যাইহোক মূলত শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাগুলিকেও কভার করার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।

৪ . ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস বা সংক্ষেপে ইউপিআই -এর মাধ্যমে ৫৩৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। ইউপিআই প্রক্রিয়ার কারণে বর্তমানে আর্থিক লেনদেন আরও সহজ এবং কার্যকর হয়ে উঠেছে।

৫ . ৯ বছরের মধ্যে ৩৪.৬ কোটিরও বেশি আয়ুষ্মান কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। এই কার্ড এলিজেবল নাগরিকদের ভারত জুড়ে অবস্থিত সরকারি এবং বেসরকারি উভয় হাসপাতালে নগদ-হীন স্বাস্থ্যসেবার লাভ ওঠাতে সাহায্য করে। এই উদ্যোগ লক্ষ লক্ষ ভারতীয়দের জন্য সহজ তথা সুলভ স্বাস্থ্যসেবার অ্যাক্সেস প্রদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

৬ . ৯ কোটিরও বেশি ফাস্ট-ট্যাগ কার্ড জারি করা হয়েছে। জানিয়ে রাখি ফাস্ট-ট্যাগ হল ভারতের একটি ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা, যা ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। এই ডিজিটাল পদ্ধতি টোল পেমেন্টকে সরলীকরণ করেছে। একইসাথে ফিজিক্যাল টোল সংগ্রহের জন্য যে সময় লাগতো তাতে হাইওয়েতে খুবই যানজট হত, যা এখন কমেছে। এখন ফাস্ট-ট্যাগ -এর মাধ্যমে সেকেন্ডের মধ্যেই টোল দেওয়া সম্ভব হয়, যা ভেইকেল চালকদের আরো ভালো ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।