মারুতি-হুন্ডাইদের পিছনে ফেলে দেশের প্রথম গাড়ি সংস্থা হিসাবে এই উদ্যোগ নিতে চলেছে Tata

দেশ জুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার প্রসারিত হচ্ছে। তাই বাজার ধরতে তাই প্রতিটি সংস্থাই নতুন নতুন মডেল নিয়ে ক্রেতাদের মন জয়ে উদ্যোগী হচ্ছে। এতদিন ধরে ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক চার চাকা ও সাধারণ গাড়ি একই ছাদের তলায় বিক্রি হয়ে এসেছে। তবে এবার ক্রেতাদের আরও উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের জন্য আলাদা শোরুম খুলতে চলেছে টাটা মোটরস (Tata Motors)।

সংস্থাটি তাদের বৈদ্যুতিক মডেলগুলির জন্য এক্সক্লুসিভ নেটওয়ার্ক লঞ্চ করবে বলে ঘোষণা করেছে। চলতি আর্থিকবর্ষেই এটি চালু করা হবে বলে জানিয়েছে টাটা। Nexon Facelift ও Nexon EV Facelift লঞ্চের সময় এ কথা জানিয়েছে টাটা মোটরস প্যাসেঞ্জার ভেহিকেলস ও টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈলেশ চন্দ্র।

টাটার বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য আলাদা নেটওয়ার্ক

টাটা তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি ক্রেতাদের জন্য এবারে বিশেষ নেটওয়ার্ক ও ভিন্ন পরিষেবা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। নিজেদের বিক্রিত মোট গাড়ির অর্ধেক বৈদ্যুতিক মডেল হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে তারা। চন্দ্র বলেন, ইন্টার্নাল কম্বাশন (আইসি) ইঞ্জিন ও ইভি মডেলের ক্রেতার চাহিদা আলাদা। তাই দুটি আলাদা বিভাগ উদ্বোধনের প্রয়োজনীতা রয়েছে।

চন্দ্র যোগ করেন, “ঠিক এই কারণেই টাটা মোটরস ইলেকট্রিক ভেহিকেলের জন্য নতুন পরিচয় গড়ে তুলতে চলেছে। এটি স্থায়ীত্ব, সম্প্রদায় এবং প্রযুক্তি – এই তিন স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।” এর ফলে আইসিই ও ইভি, উভয় ক্রেতাদের সমানভাবে যত্ন নেওয়া সম্ভব হবে বলেই ধারণা টাটার। কতগুলি ইভি আউটলেট খোলা হবে প্রশ্নের উত্তরে চন্দ্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকটি বিশেষ শহরে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হবে। এর বেশি কিছু জানাননি তিনি।

বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে টাটার সাফল্য

বর্তমানে ভারতের ইলেকট্রিক ভেহিকেল সেগমেন্টে টাটার একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়ে কোন সংশয় নেই। কিন্তু নিজেদের এই সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে টাটা, ক্রেতাদের থেকে তাঁদের পছন্দ-অপছন্দ জানার প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। এই কাজটি অতি তৎপরতার সাথে করছে তারা। সেই মতো গাড়ির প্রযুক্তিতেও আপডেট দেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রের বিশ্বাস, নেক্সন ইভি বৈদ্যুতিক গাড়ি সেগমেন্টে অপ্রতিরোধ্য। কারণ এতে ৮ বছর অথবা ১.৬ লক্ষ কিলোমিটারের ব্যাটারি ওয়ারেন্টি অফার করা হয়।