TCS এর সাথে হাত মিলিয়ে 5G নির্ভর রোবটিক প্রযুক্তির ট্রায়াল সারলো Airtel

রোবটিক্সের কাঁধে ভর করে Airtel ও Tata Consultancy Services (TCS) এবার 5G -নির্ভর রিমোট (Remote) কাজের প্রযুক্তি বিকাশে শামিল হলো। প্রখ্যাত সংস্থা দ্বয়ের এই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক প্রকল্প ভবিষ্যতে বিচ্ছিন্ন উপায়ে কাজের ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাবে বলে উৎসাহী মহলের ধারণা। দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে 5G লঞ্চের পর সংস্থাদুটি উপরোক্ত প্রযুক্তি মোতায়েন শুরু করবে বলে শোনা গিয়েছে।

এ সম্পর্কে অনেকেই অবগত রয়েছেন যে, চলতি বছরের জুন মাসে এয়ারটেল এবং টিসিএস নিজেদের মধ্যে এক কৌশলী সমঝোতায় শামিল হয়। সেখানে তারা দেশ জুড়ে উন্নত 5G নেটওয়ার্ক পরিকাঠামো সংস্থাপনের লক্ষ্যে সমবেতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। রোবটিক্সের উপরে নির্ভর করে নবপ্রজন্মের রিমোট কাজের প্রযুক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ যে আলোচ্য সমঝোতা বাস্তবায়নের একটি প্রয়াস, সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

5G -নির্ভর বিচ্ছিন্ন রোবটিক প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণার কাজে এয়ারটেল ও টিসিএস সংস্থাদ্বয় ইতিমধ্যে বেশ খানিকটা অগ্রসর হয়েছে বলে পিটিআই (PTI) সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে। এজন্য হরিয়ানার মানেসর শহরে অবস্থিত এয়ারটেলের নিজস্ব 5G ল্যাবে উভয় সংস্থা একটি পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের আয়োজন করে, যা সফল হয়েছে বলে পিটিআই সংবাদদাতা জানিয়েছেন। বর্তমানে টেলিকম পরিষেবা সরবরাহকারী কোম্পানিগুলি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল যে 5G পরিকাঠামো নির্মাণের স্বপ্নে মশগুল তা উক্ত সাফল্যের কারণে সুনিশ্চিত হতে পারে।

মূলত খনি, তেল এবং গ্যাস উত্তোলন জাতীয় শিল্পের পরিসরে আলোচ্য প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনই এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কিছু বলার উপায় নেই। এয়ারটেল এবং টিসিএস কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলেও সংস্থাদ্বয় কোনোরকম মন্তব্য প্রদানে বিরত থেকেছে।

উল্লেখ্য, রেডিও এবং অন্যান্য কোর (core) উপাদানের উপরে ভিত্তি করে টাটা গোষ্ঠী এর মধ্যেই O-RAN (Open Radio Access Network) নামক একটি সম্পূর্ণ দেশীয় টেলিকম প্রযুক্তি নির্মাণে সক্ষম হয়েছে। সারা দেশে উৎকৃষ্ট 5G যোগাযোগ গড়ে তুলতে এয়ারটেলের পক্ষ থেকে টাটা গোষ্ঠীর এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে বলে সংবাদ। সেক্ষেত্রে আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন অংশে উক্ত প্রযুক্তি সংস্থাপনের কাজ শুরু হতে পারে। তবে 5G স্পেক্ট্রাম নিলাম সম্পর্কে সরকারিভাবে কোন স্পষ্ট ঘোষণা সামনে না এলে এই কাজ পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।