ক্রেতাকে নতুন বছরের উপহার Amazon এর, 19 হাজার টাকার হেডফোনের পরিবর্তে কোলগেট পাঠালো সংস্থা

বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই ইন্টারনেটে জিনিস কিনতে পছন্দ করেন। কারণ, এর জন্য অধিক সময় ব্যয় করার দরকার হয় না, আর নিজের বাড়িতে থেকে নিজের সময়…

বর্তমান সময়ে অনেক মানুষই ইন্টারনেটে জিনিস কিনতে পছন্দ করেন। কারণ, এর জন্য অধিক সময় ব্যয় করার দরকার হয় না, আর নিজের বাড়িতে থেকে নিজের সময় মতো জিনিস কেনা যায়। আবার, মাঝে মাঝে অনলাইনে কেনা জিনিস অনেক সস্তাও হয়ে থাকে। তাই একথা বলাই যায় যে, অনলাইন কেনাকাটায় অর্থ এবং সময় উভয়ই সাশ্রয় হয়। তবে, সবকিছুর মতো, এরও কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যেমন, অর্ডার দেরিতে পাওয়া বা ভুল বা ক্ষতিগ্রস্ত জিনিস পাওয়া ইত্যাদি। আর এই ঘটনাগুলি প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হয়, যা প্রমাণ করে যে, অনলাইন কেনাকাটা সবসময় গ্রাহকের হিতে নাও হতে পারে। অনলাইনে কেনাকাটা করে যেকোনো সময় ক্রেতা নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এমনি একটি ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে। যেখানে Amazon থেকে ১৯,০০০ টাকা মূল্যের Sony XB910N ওয়্যারলেস হেডফোন অর্ডার করে কোলগেট টুথপেস্ট পেয়ে হতবাক হয়েছেন ক্রেতা৷ যশ ওঝা নামে এক ক্রেতা X-এ ( পূর্বের টুইটার) একটি আনবক্সিং ভিডিও শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিও ক্লিপের ক্যাপশনে লিখেছেন, ” আমি Sony xb910n অর্ডার করেছি এবং Colgate lmao পেয়েছি।”

এক্ষেত্রে অ্যামাজন দ্রুত ওই ব্যক্তির অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানায়। অ্যামাজনের তরফ থেকে বলা হয়, ভুল আইটেম পাঠানোয় তারা ক্ষমাপ্রার্থী। এছাড়াও, তারা ক্রেতাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়।

তবে, এটিই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও অনেক মানুষ অনলাইন শপিং করে ভুল প্রোডাক্ট পেয়েছেন। যদিও, সব ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনা। তবে সম্প্রতি আরেকটি ঘটনা জানা গেছে, যেখানে অরুণ কুমার মেহের নামের এক ব্যক্তি Amazon থেকে ৯০,০০০ টাকার ক্যামেরার লেন্সের অর্ডার দিয়ে লেন্সের পরিবর্তে কুইনো বীজের প্যাকেট সহ একটি লেন্স বক্স পেয়েছেন৷ এর পর ওই ব্যক্তি মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটারের লিখেছেন, “@amazonIN এবং অ্যাপারিও রিটেলের বড়ো স্ক্যাম। লেন্স বক্সও খোলা ছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করুন।”

এই ঘটনাটি শেয়ারের পর ওই ক্রেতা পুনরায় টুইট করে লেখে যে, অ্যামাজন এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সমাধান করা হোক এবং তাকে অর্ডার করা লেন্স পুনরায় পাঠানো হোক অথবা তাকে রিফান্ড দিয়ে দেওয়া হোক।