Android ডিভাইস সুরক্ষিত নয়, iOS এর তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি ম্যালওয়্যার আক্রমণের সম্ভাবনা?

অ্যান্ড্রয়েডের দুর্বল তথা অসুরক্ষিত সিকিউরিটি পলিসি বরাবরই সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে। ইউজার বা সিকিউরিটি এজেন্সিগুলির দ্বারা এই প্রসঙ্গটি একাধিকবার চর্চিত হলেও, আজ অবধি কোনো স্বনামধন্য সংস্থার সিইও -কে অ্যান্ড্রয়েডের সিকিউরিটি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তবে, সম্প্রতি ইউরোপের বৃহত্তম লাইভ চ্যাট শো ‘VivaTech 2021’ -এ, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টেক সংস্থা Apple -এর সিইও টিম কুক Android সম্পর্কিত একটি গুরুতর মন্তব্য করেন। কুকের মতানুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলিতে আইওএস ডিভাইসের তুলনায় ৪৭% বেশি ম্যালওয়ার আক্রমণের সম্ভবনা রয়েছে। এর কারণস্বরূপ তিনি বলেছেন, যেহেতু অ্যান্ড্রয়েডের চেয়ে অ্যাপল তাদের ডিভাইসগুলির প্রাইভেসির দিকে অধিক গুরুত্ব আরোপ করে সেহেতু সিকিউরিটির দিক থেকে আইওএস ডিভাইসগুলি বেশি সুরক্ষিত।

Android ডিভাইসে iOS এর তুলনায় বেশি ম্যালওয়ার আক্রমণের সম্ভবনা

টিম কুক অ্যান্ড্রয়েডের সিকিউরিটিকে ‘দুর্বল’ তকমা দিয়ে বলেছেন, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যাপক পরিমানে সাইডলোডিং অর্থাৎ, থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হয়, যা ইউজারদের প্রাইভেসিকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে। কিন্তু, আইওএস তথা অ্যাপেল ডিভাইস গুলিতে সাইডলোডিং না হওয়ায় এটি সুরক্ষিত। অন্যদিকে, অ্যান্ড্রয়েডে APK ফাইলের মাধ্যমে অ্যাপ ইনস্টল করা গেলেও, আইফোনে কিন্তু সুরক্ষার খাতিরে এমন কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। ফলত অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইওএস ডিভাইসগুলিতে ম্যালওয়ার আক্রমণের সম্ভাবনা যে কম তা বোধগম্য।

Android এবং iOS ডিভাইসের অ্যাপ ডাউনলোড পদ্ধতি প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে টিম কুক আরও জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য একাধিক অ্যাপ স্টোর রয়েছে। যেখানে, Apple ডিভাইসের জন্য কেবল একটিমাত্র অ্যাপ স্টোর উপলব্ধ করা হয়েছে। মূলত সিকিউরিটির খাতিরেই সংস্থাটি তাদের ইউজাদের অন্যকোনো অ্যাপ স্টোরকে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেনি। তদুপরি, অ্যাপ স্টোরে যাতে কোনো ম্যালিসিয়াস অ্যাপ প্রবেশ না করতে পারে, তার জন্য Apple অ্যাপগুলিকে পাবলিশ করার পূর্বে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা করে নেয়, বলেও কুক দাবি করেছেন।

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ব্যবহৃত অ্যাপ স্টোরগুলির মধ্যে গুগল প্লে স্টোর যথেষ্ট জনপ্রিয়। সেক্ষেত্রে, গুগল মালিকাধীন এই প্ল্যাটফর্মটি ইউজারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অ্যাপগুলির যাবতীয় তথ্যকে যাচাই করে তবেই সেগুলিকে পাবলিশ করে থাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যায়, কিছু ডেভলপাররা কৌশলের সাথে গুগলকে ফাঁকি দিয়ে তাদের ম্যালওয়্যার এবং অ্যাডওয়্যার সমন্বিত অ্যাপগুলিকে গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করে। আবার কখনও কখনও ব্যান করে দেওয়া কিছু অ্যাপকেও পুনরায় প্লে স্টোরে ফিরে আসতে দেখা যায়।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন