আপনার ফোন কে ভালোবাসেন? দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে চান? এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন

স্মার্টফোনের আগমনে আমাদের জীবন-যাপনের ধারা এখন অনেকাংশে সহজ হয়ে গেছে। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই এই ডিভাইসটির প্রতি দারুন ভাবে নির্ভরশীল। এমনকি ঘুমোনোর সময়েও অনেকে এই অত্যাধুনিক…

স্মার্টফোনের আগমনে আমাদের জীবন-যাপনের ধারা এখন অনেকাংশে সহজ হয়ে গেছে। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই এই ডিভাইসটির প্রতি দারুন ভাবে নির্ভরশীল। এমনকি ঘুমোনোর সময়েও অনেকে এই অত্যাধুনিক গ্যাজেটটিকে হাতছাড়া করতে চান না। কিন্তু, ফোনটিকে শুধু আগলে রাখলেই কিন্তু তা সুরক্ষিত থাকবে না। সাথে, এর রক্ষনাবেক্ষনও করতে হবে ভালো মতো। নইলে, আপনার মুঠোবন্দি যন্ত্রটির পারফরম্যান্স কিছু সময়ের মধ্যে ধীর হয়ে যাবে, এমনকি অসাবধানতার ফলে ফোনটি অকেজোও হয়ে যেতে পারে। তাই, আপনি দামি বা কম দামি Android ফোন কিনুন অথবা বহুমূল্য Apple iPhone, সঠিক ভাবে যত্ন না নিলে তা বেশি দিন আপনার সঙ্গ দেবে না। তাই, আপনারা যদি চান আপনার স্মার্টফোনটি সঠিক অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করুক, তাহলে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা খুবই দরকার। আপনি যদি না জেনে থাকেন কীভাবে একটি ফোনের রক্ষনাবেক্ষন করা উচিত, তবে এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। কারণ, আজ আমরা এমন কয়েকটি কৌশলের সম্পর্কে জানাবো, যা অনুসরণ করলে আপনার আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ভালো থাকবে এবং চমৎকার পারফরম্যান্স অফার করবে।

আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন (How To Maintain iPhone And Android Smartphone)

মোবাইল কভার বা কেস ব্যবহার করুন : হাত থেকে পড়ে গিয়ে মোবাইলের বডি বা স্ক্রিন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঘটনা হামেশাই দেখা যায়। তাই ফোন নতুন হোক বা দীর্ঘদিনের পুরোনো, সেটিকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যাক কভার বা কেস ব্যবহার করুন। এইধরণের কেস, মোবাইলের স্ক্রীন ক্র্যাকিং হওয়ার থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি, আর্দ্রতা থেকেও রক্ষা করবে।

স্ক্রিন গার্ড ব্যবহার করুন : আপনার ফোনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য শুধুমাত্র কেস ব্যবহার করলেই চলবে না। কারণ, কেস সর্বদা মোবাইলের স্ক্রিনকে সুরক্ষিত রাখতে পারে না। আর, মোবাইলের স্ক্রিন খুবই সংবেদনশীল হওয়ায়, একটু অসাবধানতাতেই তা ক্র্যাক বা ভেঙে যেতে পারে। তাই গরিলা গ্লাস বা স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করে আপনার ফোনের স্ক্রিন সুরক্ষিত রাখতে পারেন। যদিও আজকাল টেক সংস্থাগুলি তাদের ফোনকে গরিলা গ্লাস প্রটেকশন সহ নিয়ে আসে। তবুও, মোবাইলের অন্যতম অংশ ডিসপ্লে প্যানেলকে সুরক্ষিত রাখতে অতিরিক্ত আবরণ ব্যবহার করতে কোনো ক্ষতি নেই।

অ্যাপ আপডেটেড রাখুন : আমরা আমাদের স্মার্টফোনে বহুবিধ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। যার মধ্যে অনেক অ্যাপই প্রি-ইনস্টল থাকে। আবার কিছু অ্যাপ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই ডাউনলোড করে নেন। এই সকল অ্যাপকে নিয়মিত আপডেটেড করা উচিত। কেননা, পুরোনো ভার্সনের অ্যাপ ব্যবহার করলে ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই মোবাইল ও নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি সুরক্ষিত রাখতে প্রতিটি অ্যাপ আপ-টু-ডেট রাখতে হবে। এর জন্য আপনারা অটো-আপডেট মোড অন করে রাখতে পারেন। তদুপরি, যে অ্যাপগুলি আপনারা ব্যবহার করেন না, সেগুলি সরিয়ে দেওয়া উচিত।

অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের জন্য ‘ট্রাস্টেড সোর্স’ ব্যবহার করুন : যেকোনো অ্যাপ ইনস্টল করার জন্য সর্বদা ট্রাস্টেড ডাউনলোডিং সাইট ব্যবহার করা উচিত। যেমন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য গুগল প্লে স্টোর এবং আইফোনের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোর বা অন্যান্য অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করতে পারেন। কোনো অপরিচিত সোর্স থেকে ভুলেও অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। এমন করলে ম্যালওয়্যার অ্যাটাকের ঝুঁকি দেখা দেবে।

জল ও মাত্রাতিরিক্ত তাপের থেকে বাঁচিয়ে রাখুন ফোন : আপনার ফোন যাতে কোনোভাবে জলের সংস্পর্শে না আসে সেই দিকে খেয়াল রাখুন। কেননা, সামান্য জলের ফোঁটাও ফোনকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। এমনকি, আপনার ফোন যদি ওয়াটপ্রুফ বা জলরোধীও হয়, তবুও ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। এছাড়া, অতিরিক্ত তাপ ও যেকোনো ধরণের চাপ যাতে না লাগে ফোনে, সেই দিকে নজর রাখুন। কারণ এতে আপনার ফোনের ক্ষতি হতে পারে।

ক্যাশে ক্লিয়ার করুন : ফোনে অনেক অ্যাপ চলার কারণে জাঙ্ক ফাইলগুলি ক্যাশের মধ্যেই থেকে যায়। সময়ে সময়ে এই ফাইলগুলি পরিষ্কার করতে থাকুন, যাতে আপনার আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন সঠিকভাবে চলে এবং পারফরম্যান্স স্লো না হয়ে যায়।