Apple Car: টেসলার পথেই অ্যাপল, চালকহীন গাড়ি আনতে দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থার হাত ধরল

আইফোন (iPhone)-এর মাধ্যমে স্মার্টফোনের জগতে এক আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন স্টিভ জোবস (Steve Jobs)। একইভাবে আইকার (iCar, আনঅফিসিয়াল নাম)-এর মাধ্যমে গাড়ির জগতে আলোড়ন ফেলার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তাঁর সংস্থা অ্যাপল (Apple)। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আর বছর তিন-চারের মধ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটবে টেক জায়ান্টটির সেই অত্যাধুনিক গাড়ির। জ্বালানি তেলে নয়, ভবিষ্যতকে দূষণমুক্ত রাখতে তা চলবে বিদ্যুতে। পাশাপাশি, এতে ট্রুলি অটোনমাস (truly autonomus) ড্রাইভিং প্রযুক্তি বা সত্যিকারের স্বয়ংক্রিয় সঞ্চালন ব্যবস্থাও থাকবে।

জল্পনা সত্যি হলে সিটবেল্ট বেঁধে বসে পড়তেই আপনাআপনি চলতে শুরু করবে অ্যাপল কার (Apple Car)। স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখার প্রয়োজন পড়বে না। গাড়ি রাস্তার পারিপর্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে দক্ষ চালকের মতো যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। এ কাজে তাকে সহায়তা করবে অটোপাইলট সিস্টেম। আর এই সেল্ফ ড্রাইভিং প্রযুক্তির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংস্থার সঙ্গে গাটছড়া বেঁধেছে অ্যাপল।

সে দেশের এক সংবাদসংস্থা খবরটি সামনে এনেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, অ্যাপল তাদের চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তির জন্য একটি আউটসোর্সড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি এন্ড টেস্ট (ওএসএটি) বা OSAT-এর হাত ধরেছে। নাম শুনেই বোধগম্য এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের হাতে ওঠার আগে নামী সংস্থাদের প্রসেসর অ্যাসেম্বেল, প্যাকেজিং, এবং ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের পরীক্ষার মতো পরিষেবা সরবরাহ করে থাকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অ্যাপল নাকি গত বছর থেকেই সংস্থাটির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের আপকামিং গাড়ির অটোপাইলট বৈশিষ্ট্যকে কার্যকরী করার জন্য জরুরি চিপ মডিউল বিকাশের কাজ সম্পন্ন করেছে৷ পুরো প্রকল্পটি অ্যাপলের দক্ষিণ কোরিয়ার অফিস থেকে গোপনে চালনা করা হয়েছে। আগামী বছর পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Mask)-এর সংস্থা টেসলা (Tesla)-ও তাদের স্মার্ট গাড়ির অটোপাইলট চিপের জন্য স্যামসাং (Samsung)-এর সাহায্য নিয়ে অ্যাসেম্বেল করার বরাত দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থাকে দিয়েছিল।

এদিকে অ্যাপলের এই উদ্যোগের সাথে আমেরিকা ও থাইল্যান্ডে ফক্সকন (Foxconn)-এর বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা গড়ার যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ, সরবরাহের বরাত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আইফোন তৈরি করে তারা। সে ক্ষেত্রে ফক্সকনের ওই কারখানায় অ্যাপল কার তৈরির সম্ভাবনা উজ্জ্বল।