iPhone 12 সিরিজের সাথে নেই চার্জার ও ইয়ারপড, Apple কে নিয়ে রসিকতা Samsung এর

বিশ্বের দুই জনপ্রিয় কোম্পানি Apple এবং Samsung-এর প্রযুক্তিগত লড়াইয়ের কথা কারো অজানা নয়। দুটি সংস্থাই নিজেদের সেরা প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। এমনকি একে অপরকে কখনও কখনও বিদ্রুপ করতেও ছাড়েনা! দিন চারেক আগেই বিশ্ব বাজারে নতুন iPhone সিরিজ লঞ্চ করেছে Apple, আর এরপরেই নেটিজেনদের সমালোচনার তীর ধেয়ে এসেছে মার্কিনি সংস্থাটির দিকে। এমনকি Samsung বা সংস্থার অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরাও Apple-কে নিয়ে পরিহাস করতে ছাড়েনি।

আসলে, গত ১৩ই অক্টোবর বিশেষ ইভেন্টে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত iPhone সিরিজের ওপর থেকে পর্দা সরিয়েছে অ্যাপল। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সিরিজের iPhone 12, iPhone 12 Mini, iPhone 12 Pro বা iPhone 12 Pro Max – কোনো ডিভাইসের সাথেই চার্জার অ্যাডাপ্টার এবং ইয়ারপড দেওয়া হবেনা। শুধু তাই নয়, iPhone 11, iPhone SE এবং iPhone XR সিরিজের নতুন ব্যাচগুলি কিনতে চাইলেও ওই অত্যাবশকীয় অ্যাক্সেসরিজগুলি আলাদাভাবে কিনতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এগুলি আলাদাভাবে কিনতে হলে গ্রাহকদের ১,০০০ টাকার বেশি খরচ করতে হবে। আর এই হঠকারী পদক্ষেপের জন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হয়েছে অ্যাপল।

একাধিক ইউজার, অ্যাপলের এই পদক্ষেপের জন্য মজা করতে শুরু করেছে, তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মিম। অ্যাপলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংও এই পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার করেছে এবং নতুন আইফোনের বক্সে চার্জিং অ্যাডাপ্টার না থাকার ঘটনাটি নিয়ে বেশ মশকরা করেছে।

https://www.facebook.com/SamsungCaribbean/posts/4610541622352343

স্যামসাং, তার অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি সিরিজের স্মার্টফোনগুলির চার্জিং অ্যাডাপ্টারের সাথেই শিপিং হবে। অর্থাৎ গ্যালাক্সি ডিভাইস কিনলে আলাদা করে চার্জার অ্যাডাপ্টার কিনতে হবেনা। একই সাথে গ্যালাক্সি স্মার্টফোনের বিশেষ ফিচারগুলি হাইলাইটও করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাটি। যদিও ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে, স্যামসাং-ও আগামী বছর থেকে ডিভাইসের সাথে চার্জিং অ্যাডাপ্টার নাও সরবরাহ করতে পারে। প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে Apple প্রথম যখন ফোনের সঙ্গে ইয়ারফোন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখনও স্যামসাং কটাক্ষ করেছিল। যদিও পরবর্তীতে স্যামসাংও এই একই সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে যাইহোক, এখনো অবধি এই সমস্ত সমালোচনার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি অ্যাপল। এখন দেখার বিষয় এটাই, সমস্ত বিতর্ক ছাড়িয়ে নতুন আইফোন সিরিজটি আগের সিরিজগুলির মতই জনপ্রিয়তা পায় কিনা!