Apple to Add Support to Third-Party battery Displays on iPhones

অ্যাপল আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, ব্যাটারি ও ডিসপ্লে নিয়ে বড় ঘোষণা

অ্যাপল বরাবরই তাদের প্রোডাক্টে অনুমোদিত বৈধ পার্টস বা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের উপর জোর দেয়। কিন্তু শীঘ্রই ডিভাইস মেরামতের ক্ষেত্রে সংস্থাটি আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলেছে। টেক জায়ান্টটি হালফিলে একটি রিপোর্ট শেয়ার করেছে। যেখানে, ২০২৪ সালের শেষে আইফোন মেরামতের ক্ষেত্রে থার্ড-পার্টি ডিসপ্লে ও ব্যাটারির সাপোর্ট পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি ‘ট্রু টোন’ -এর মতো ফিচারও থার্ড-পার্টি ডিসপ্লেতে সাপোর্ট করবে বলে জানানো হয়েছে।

একইভাবে থার্ড-পার্টি ব্যাটারি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কয়েকটি সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন বর্তমানে যারা নিজেদের আইফোনে থার্ড-পার্টি ব্যাটারি ব্যবহার করছেন, তারা – ম্যাক্সিমাম ক্যাপাসিটি ও সাইকেল কাউন্টের মতো ব্যাটারি হেলথ মেট্রিক্স দেখতে পান না। কিন্তু ২০২৪ সালের শেষের মধ্যে কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে, যার দরুন ডিভাইসে থার্ড-পার্টি ব্যাটারি ইনস্টল করার পরও ব্যাটারি হেলথ মেট্রিক্স দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা, এমনটাই দাবি করেছে অ্যাপল।

প্রসঙ্গত এই বিষয়ে অ্যাপল তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, কিছু থার্ড-পার্টি সংস্থা নতুন বলে সেকেন্ডহ্যান্ড বা ব্যবহৃত ব্যাটারি ক্রেতাদের বিক্রি করে থাকে। বর্তমানে থার্ড-পার্টি ব্যাটারির জন্য হেলথ মেট্রিক্স প্রদর্শন না করায় ব্যবহারকারীরা তা টের পান না। কিন্তু ২০২৪ সালের শেষে ডিভাইস মেরামতের ক্ষেত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসা হলে, নোটিফিকেশন সহ ব্যাটারি হেলথ মেট্রিক্স প্রদর্শন করা হবে ডিভাইসে। যা ব্যবহৃত ব্যাটারি নতুন নাকি পুরোনো তার জানান দেবে। যদিও অ্যাপল, থার্ড-পার্টি ব্যাটারি সম্পর্কে ‘হেলথ মেট্রিক্স’ -এর দেওয়া সব তথ্যই যে সঠিক হবে এই গ্যারান্টি নিচ্ছে না।

এদিকে মনে করা হচ্ছে, আপডেটগুলি চলতি বছরের শেষের দিকে লঞ্চ হতে চলা আইওএস ১৮ ইউজার ইন্টারফেসে সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

অ্যাপল তাদের আইফোন কে টেকসই করতে কী করছে?

অ্যাপল দাবি করেছে যে, তারা আইফোন সহ অন্যান্য প্রোডাক্ট শক্তিশালী উপকরণ দিয়ে তৈরী করে। একইসাথে একাধিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে ডিভাইসগুলি কতটা টেকসই তা বোঝা যায়। তা সত্ত্বেও যদি ডিভাইস মেরামতের প্রয়োজন পড়ে, তবে ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি ও সিকিউরিটি যাতে ক্ষুন্ন না হয় তা নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া ডিভাইস মেরামতের জন্য দরকারি পার্টস যাতে সবসময় উপলব্ধ থাকে সেই দিকেও সমানভাবে নজর দেওয়া হয়। নীচে অ্যাপল আইফোনের দীর্ঘায়ুর জন্য কি কি কাজ করেছে তার তালিকা দেওয়া হল –

  • অ্যাপলের বিবৃতি অনুসারে, অ্যান্ড্রয়েড হ্যান্ডসেটের তুলনায় আইফোনকে ৪০% বেশি ভালো কম্পোনেন্টের সাথে বাজারে লঞ্চ করা হয়। যার দরুন ফোনগুলি বেশি দিন পর্যন্ত চলে। আর ব্যবহারকারীরা নতুন ফোনে আপগ্রেড হওয়ার সময়ে ভালো ট্রেড-ইন ভ্যালুর সাথে তাদের পুরানো ডিভাইস বিক্রি করার বিকল্প পেয়ে যাবেন।
  • আগেই বলেছি, অ্যাপল তাদের প্রোডাক্টগুলিকে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায়। যাতে ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে ডিভাইসগুলি টিকে থাকতে পারে এবং পারফরম্যান্স প্রভাবিত না হয়। এই সকল পরীক্ষার মধ্যে – লিকুইড, কেমিক্যাল, এবং ফিজিক্যাল স্ট্রেস সামিল রয়েছে। এই পরীক্ষাগুলি আইফোনের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
  • অ্যাপল তাদের আইফোনের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সফ্টওয়্যার সাপোর্ট অফার করে। নূন্যতম ৭-৮ বছর সিকিউরিটি প্যাচ এবং ওএস আপডেট পাওয়ার দরুন ফোনগুলি ভালোভাবে কাজ করে। উপরন্তু ব্যবহারকারীদের সাইবার অ্যাটাকের মতো নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয় না।
  • বর্তমানে ই-ওয়েস্ট একটা অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবেশের জন্য। যেকারণে অ্যাপল তাদের আইফোনগুলিকে এমনভাবে ডিজাইন করছে যাতে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সহজেই মেরামত করা যায়। এক্ষেত্রে টেক জায়ান্টটি পুনর্ব্যবহৃত উপকরণ ব্যবহার করে আইফোনের বিভিন্ন পার্টস বা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে।