AI: কারো মনে কী চলছে তা এবার জানা যাবে সাথে সাথেই, তৈরি হল মগজ পড়ার আশ্চর্য প্রযুক্তি

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে মানুষের জীবন, মননের পাশাপাশি বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেধা – আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা AI শব্দটি এখন যতটা…

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে মানুষের জীবন, মননের পাশাপাশি বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা মেধা – আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা AI শব্দটি এখন যতটা সাধারণ, ততটাই আশ্চর্যের পরিভাষাও! আসলে দিন-কে-দিন এই প্রযুক্তিটি আমাদের জীবনযাত্রায় কিছু না কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসছেই, মাঝেমধ্যে AI এমন কিছু কামাল দেখাচ্ছে যার কথা হয়ত কল্পনাও করা যায়না; যেমন AI ChatTool, ChatGPT ChatTool ইত্যাদি তো ভার্চুয়াল জীবনের পুরো মানচিত্রই বদলে দিয়েছে। তবে চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালটি প্রযুক্তি তথা AI-এর জন্য আরও বিশেষ হয়ে উঠতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে, কারণ শোনা যাচ্ছে যে নিজের এতদিনকার সমস্ত অবাক করা কাজকর্মের থেকে এক ধাপ এগিয়ে এটি এবার আমাদের মন থুড়ি চিন্তা-ভাবনা পড়বে। একটি গবেষণার ফলাফল অন্তত তাই-ই বলছে।

আপনার মাথায় কী চলছে, এবার তাও জেনে নেবে AI

সম্প্রতি অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের ডক্টরাল ছাত্র জেরি ট্যাং, ইউটি অস্টিনের নিউরোসায়েন্স ও কম্পিউটার সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক অ্যালেক্স হুথের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল নতুন এক এআই মডেল তৈরি করেছে যা মানুষের চিন্তাভাবনা পড়তে পারে। নেচার নিউরোসায়েন্স জার্নাল অনুযায়ী এটি নন-ইনভেসিভ এআই সিস্টেম বা সিমেন্টিক ডিকোডার হিসেবে পরিচিত। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার মাধ্যমে এই প্রযুক্তিকে গুগল বার্ড (Google Bard) এবং ওপেনএআই (OpenAI)-এর চ্যাটজিপিটির অনুরূপ একটি ট্রান্সফরমার মডেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছেন যা রিয়েল টাইমে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পড়তে এবং অনুবাদ করতে সক্ষম হবে।

আপাতদৃষ্টিতে এই নতুন এআইয়ের কথা শোনার পর বেশিরভাগই অবাক হবেন, অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন যে এতে তো আর ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকবেনা। আসলে এতদিন মানুষের মনে কী চলছে তা জানার মত কোনো যন্ত্র বা বিকল্প ছিলনা, এই নিয়ে বেশ খেদও ছিল মানবসমাজে। কিন্তু এখন এআই ভিত্তিক ডিকোডার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ট্র্যাক করে একজন ব্যক্তি কী ভাবছে তা প্রকাশ করে দিতে পারবে – অর্থাৎ ‘গোপন কথাটি রবে না গোপনে’। তাই এই প্রযুক্তির অপব্যবহার হলে তা চরম জটিলতা এমনকি বিপদের সৃষ্টি করতে পারে!

তবে শত আশঙ্কা সত্ত্বেও এই নয়া এআই টুলটি পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম কিছু হবেনা। গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, এখন ব্রেন ইমপ্লান্ট না করেও মানুষের মানসিক অবস্থার তথ্য পাওয়া যাবে। কাজের পদ্ধতির কথা বললে এই এআই, একজন ব্যক্তি কিছু শুনলে বা কল্পনা করলে তাকে টেক্সটে রূপান্তর করবে। তবে শীঘ্রই এর জন্য চ্যাটজিপিটির মত একটি টুল তৈরি করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চ্যাটজিপিটি, রিয়েলটাইমে (মানে তৎক্ষণাৎ) মানুষের সাথে মানুষের মত করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অঙ্কের সমাধান, রচনা করা, কোডিং ইত্যাদি কাজ করে।