সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল করেও শেয়ার করবেন না আপনার বাচ্চার ছবি, সতর্ক করল পুলিশ

আজ কাল বেশিরভাগ মানুষই অসতর্কভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নিজেদের শিশুর ছবি শেয়ার করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন যারা বাচ্চার জন্মের সাথে সাথেই তার জন্য…

আজ কাল বেশিরভাগ মানুষই অসতর্কভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নিজেদের শিশুর ছবি শেয়ার করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন যারা বাচ্চার জন্মের সাথে সাথেই তার জন্য একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলেন। তবে আপনিও যদি এই দলে থাকেন, তবে জেনে রাখুন এমন করা মোটেও উচিত নয়। আর আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে, বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিক মার্ক জুকারবার্গও (Mark Zuckerberg) যখন তার সন্তানদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তখন তাদের মুখ থাকে ঝাপসা। তাছাড়াও অনেক বড় বড় সেলিব্রেটি আছেন যারা নিজেদের সন্তানের ছবি প্রকাশ করেন না। কিন্তু সাধারণ মানুষ অতি সহজেই এই কাজ করে ফেলেন। তবে এখন আর ভাবনা চিন্তা না করে এমন কাজ করা যাবে না। কারণ পুলিশের তরফ থেকে এবার কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে যে, শিশুদের ছবি এবার থেকে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা যাবে না।

আসাম পুলিশের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে এই নির্দেশ

আসাম পুলিশ একটি টুইট করে অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে নিষেধ করে শিশুদের আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করতে বলেছে। পোস্টটিতে চারটি ভিন্ন ভিন্ন শিশুর ছবি দেখানো হয়েছে, যার সবগুলোতেই শিশুদের পক্ষ থেকে একটি করে বার্তা দেওয়া হয়েছে। আর এর নাম দেওয়া হয়েছে শেয়ারেন্টিং (Sharenting)। পিতামাতারা তাদের সন্তান সম্পর্কে সংবেদনশীল বিষয়বস্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তাদের ছবি প্রকাশ্যে শেয়ার করেন বলেই এমন নামকরণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কাজের ফলে ভবিষ্যতে পিতামাতা-সন্তানের সম্পর্ক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। উল্লেখ্য, এই টুইটের সাথে #DontBeASharent ব্যবহার করা হয়েছে।

সাইবার বুলিং থেকে হতে পারে বিপদ

বেশির ভাগ ছোট শিশুরা এটা জানে না যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অসংখ্য ছবি আছে। আর এই শিশুরা যখন বড় হয়, তখন তাদের এই ছবিগুলোর কারণে সাইবার বুলিং-এর সম্মুখীন হতে হয়। সাইবার বুলিংয়ে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাচ্চাদের ছবি নিয়ে অনেকেই তাদের সাথে মজা করতে পারে, এমনকি তাদের হুমকিও দেওয়া হতে পারে।

এই কারণে বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, স্টিভ জবসের মত ব্যক্তিরা নিজের সন্তান বা পরিবারের ছবি সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করেন না। প্রসঙ্গত, বাচ্চারা বড় হওয়ার পরে, তাদের অনুমতি ছাড়া তাদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা কেন হয়েছিল, সেই নিয়েও তারা প্রশ্ন করলে বাবা মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য থেকে শুরু করে সম্পর্ক খারাপ পর্যন্ত হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের এখন থেকে এই কাজ না করাই উচিত।