চাপে পড়বে Ola, ইলেকট্রিক স্কুটারের জোগান বাড়াতে নতুন উৎপাদন কেন্দ্র খুলছে Ather Energy

দেশে দ্বিতীয় উৎপাদন কেন্দ্র খোলার কথা ঘোষণা করল ইলেকট্রিক টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থা Ather Energy। উত্তরোত্তর বেড়ে চলা ই-স্কুটারের চাহিদা যাতে আরও সহজেই জোগান দেওয়া যায়, সেজন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রথম ইউনিটটির পর দ্বিতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটটিও তামিলনাড়ুর হোসারে খুলতে চলেছে Ather। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-এর মধ্যেই এটি চালু করা হবে। তার জেরে বৈদ্যুতিক স্কুটারের বার্ষিক উৎপাদন সংখ্যা ১.২০ লাখ থেকে বেড়ে ৪ লাখ করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে খবর।

ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজার ধরতে কোমর বেঁধেছে একাধিক সংস্থাই। যেগুলির মধ্যে এথার এনার্জি, হিরো ইলেকট্রিক, টিভিএস, ওকিনাওয়া ছাড়াও একাধিক সংস্থা নিজেদের মধ্যে এই লড়াইতে শামিল হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে লড়াইতে টিকে থাকতে যে কোনো সংস্থার কাছেই নিজেদের বার্ষিক উৎপাদনের সংখ্যা বৃদ্ধিই হচ্ছে মূল চাবিকাঠি। আর তার জেরেই এক এক করে অটোমোবাইল সংস্থাগুলি নিজেদের উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ করার কথা ঘোষণা করে চলেছে।

অন্যদিকে ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric) প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে আসার পর প্রতিযোগিতার বারুদে স্ফুলিঙ্গ সঞ্চারিত করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন অটোমোবাইল সংস্থার বার্ষিক বৈদ্যুতিক বাহন উৎপাদনের সংখ্যায়। যার মধ্যে অন্যতম হল এথার এনার্জি। এক লাফে তাঁরা কয়েক লক্ষ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এথার এনার্জির সহ-প্রতিষ্ঠাতা তরুণ মেহতা (Tarun Mehta) বলেছেন, “সমগ্র দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের চাহিদা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। সাথে ইলেকট্রিক স্কুটারের প্রতি গ্রাহকদের প্রত্যাশাও বাড়ছে।” তিনি আরো যোগ করেছেন, “প্রথম উৎপাদন কেন্দ্রটি খোলার ১০ মাসের মধ্যে সেটিকে সম্পূর্ণরূপে চালু করা হয়েছে। আমরা দ্বিতীয় উৎপাদন কেন্দ্রটি ২০২২-এর মধ্যেই চালু করব।”

প্রসঙ্গত, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে মোট ৬৫০ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে Ather Energy। গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা ঘোষণা করেছে Ather 450 Plus ও Ather 450X তৈরীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ৯০ শতাংশই এদেশে নির্মাণ করা হয়।