Pulsar কি এবার ইলেকট্রিক ভার্সনে? KTM এর সাথে গাঁটছড়ায় বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল লঞ্চের ঘোষণা করল Bajaj

দেশের রাস্তায় পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক স্কুটারের যাতায়াত বেড়েছে। কিন্তু তার তুলনায় ব্যাটারি চালিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এমনকি প্রথাগত জ্বালানি চালিত দু’চাকা গাড়ি প্রস্তুতকারী পরিচিত সংস্থাগুলিও ই-স্কুটার ট্রেন্ডেই মজে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টু-হুইলার সংস্থা বাজাজ (Bajaj) বছর আড়াই আগে তাদের চেতক (Chetak) স্কুটারকে বৈদ্যুতিক ভার্সনে লঞ্চ করেছে। এবার বিদ্যুৎ চালিত বাইকের জগতে পদার্পণ করতে চলেছে সংস্থাটি। তাদের সহযোগী কেটিএম (KTM)-এর সাথে গাঁটছড়ায় প্রিমিয়াম অর্থাৎ উচ্চমানের শক্তিশালী ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল লঞ্চ করবে বলে ঘোষণা করল বাজাজ। ফলে স্বাভাবিক ভাবে বৈদ্যুতিক অবতারে পপুলার পালসার (Pulsar) সিরিজ আত্মপ্রকাশের জল্পনা শুরু হয়েছে।

চেতকের পর আর কোনও নতুন দু’চাকা বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে আনেনি বাজাজ। সেই খেদ মেটাতেই এবার পরিকল্পনামাফিক বড় পদক্ষেপ ফেলতে চাইছে তারা। ইলেকট্রিক মোটরবাইক লঞ্চের পরিকল্পনার বিষয়ে সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রাকেশ শর্মা বলেছেন, “আমরা কেটিএমের সাথে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আলোচনা করছি এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাইকের জন্য সঠিক প্ল্যাটফর্মের সন্ধান চালাচ্ছি।”

এই নিয়ে যে প্রচুর পরিকল্পনা রয়েছে, সে কথাও জানাতে ভোলেননি তিনি। তবে লঞ্চ কবে, এই প্রশ্নে রাকেশ শর্মার জবাব, সঠিক সময় এলেই পুরোটা বিস্তারিত ভাবে জানানো হবে। পাশাপাশি বাজাজ তার একমাত্র ইলেকট্রিক স্কুটার চেতকের চাহিদা আগামী দিনে যথেষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ার আশাপ্রকাশ করেছে। লঞ্চের পর থেকে এখনও পর্যন্ত চেতকের ১৪,০০০ ইউনিটের বেশি বিক্রি হয়েছে। বুকিং ১৬,০০০ পেরিয়ে গেছে বলেও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।

তাছাড়া, চেতক ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে তৎপর হয়েছে বাজাজ অটো। বর্তমানে চেতক দেশের ২৭টি শহরে পাওয়া গেলেও চলতি অর্থবর্ষে ৭৫টি শহরে ডিলারশিপ খোলার যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। আবার সম্প্রতি চেতকের জন্য পৃথকভাবে এক নতুন উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছে বাজাজ‌।