সাইবার জালিয়াতি থেকে বাঁচতে অবশ্যই মেনে চলুন এই চারটি নিয়ম

Online transaction safety tips: ব্যাঙ্কের বাইরে লাইন দিয়ে টাকা তোলা বা জমা দেওয়ার ঝক্কি এড়াতে সকলেই এখন অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করছেন। তবে কথায় আছে, সব কিছুরই একটি ইতিবাচক এবং একটি নেতিবাচক দিক থাকে। সেক্ষেত্রে, অনলাইন ব্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রেও এই কথাটি সমান ভাবে প্রযোজ্য। কারণ, মানুষের মধ্যে অনলাইন ট্রানজ্যাকশন করার প্রবণতা যত বাড়ছে, ততই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মতো সাইবার অপরাধের ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমত পরিস্থিতিতে, অনলাইন পেমেন্ট করার সময় কয়েকটি প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। তাই আজ আমরা সাবধানতার সাথে অনলাইন ট্রানজ্যাকশন করার জন্য কয়েকটি ‘বেসিক টিপস’ আপনাদের জানাবো। এগুলি অনুসরণ করলে সাইবার প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকবে।

সাবধানতার সাথে অনলাইন ট্রানজ্যাকশন করতে এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করুন

পাবলিক ওয়াই-ফাই বা সাইবার ক্যাফে থেকে অনলাইন ট্রানজ্যাকশন করবেন না ভুলেও: আপনি যদি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ রাখতে চান, তাহলে পাবলিক ওয়াই-ফাই এবং সাইবার ক্যাফের কম্পিউটার ব্যবহার করে অনলাইনে টাকার লেনদেন একদমই করবেন না। কারণ, হ্যাকাররা যদি পাবলিক নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ম্যালিসিয়াস কোড ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়ে যায় তবে, সেই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী সকল ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য চলে যাবে হ্যাকারের হাতে। আর এমনটা হলে আপনাকে বড়োসড়ো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই ট্রানজ্যাকশনের ক্ষেত্রে, পাবলিক নেটওয়ার্কের পরিবর্তে সর্বদা প্রাইভেট ওয়াই-ফাই বা মোবাইল নেটওয়ার্ক‌ ব্যবহার করুন। সাথে, মোবাইলের ক্যাশে মেমরি ক্লিয়ার করতে থাকুন। এতে আপনার ব্যাঙ্কের তথ্যাদি বেহাত হবে না।

ওয়েবসাইটে কার্ডের তথ্য সেভ করা থেকে বিরত থাকুন: এটি হলো অনলাইন শপিংয়ের যুগ। তাই দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করা এখন ‘ব্যাকডেটেড’ হয়ে গেছে। আর করোনার ফলে এখন প্রায় সকলকেই অনলাইন সাইটগুলির থেকে প্রোডাক্ট কিনছে। এক্ষেত্রে, প্রায়শই দেখা গেছে যে, ক্রেতারা দ্রুত পেমেন্ট করার জন্য তাদের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের তথ্য বা ডিটেলস অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সেভ করে রাখেন। এমনটা করা একদমই উচিত নয়। কারণ, প্রায়দিন যেভাবে অনলাইন সাইটগুলির তথ্য চুরি করে নিচ্ছে হ্যাকাররা, তাতে কার্ড ডিটেলস সেভ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই ট্রানজ্যাকশনের সময়ে কার্ড ডিটেলস যদি সেভ হয়েও যায়, তা অবিলম্বে রিমুভ করুন।

ওয়েবসাইটের URL অবশ্যই চেক করুন: যেকোনো ওয়েবসাইটে অনলাইন পেমেন্ট করার সময়, সাইটটির URL একবার চেক করে নিতে ভুলবেন না। URL -এর শুরুতে যদি Https -এর জায়গায় যদি Http থাকে, তাহলে বুঝবেন সাইটটি খুব বেশি নিরাপদ নয়। কারণ, Https -এ থাকা ‘S’ অক্ষরটি জানান দেয় কোন সাইটগুলি সিকিয়র বা নিরাপদ।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা ব্যাঙ্ক কার্ডের পিন, পাসওয়ার্ড সর্বদা শক্তিশালী ও ব্যতিক্রমী হওয়া উচিত। তাই আপনি যে ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করেন সেগুলির লগ-ইন পাসওয়ার্ডে অক্ষরের পাশাপাশি সংখ্যা এবং কিছু বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করুন, যাতে সেটিকে সহজে অনুমান না করা যায়। আর সাথে, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর হিসাবে আপনার মোবাইল বা জন্মের তারিখ বাদে অন্য যে কোনো সংখ্যা ব্যবহার করুন এবং সেটিকে সময়ে সময়ে বদলাতে থাকুন। এর ফলে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিরাপদ থাকবে এবং আপনি অনলাইন জালিয়াতির শিকার হবেন না।