Bharat NCAP: যাত্রী সুরক্ষা জোরদার করতে উদ্যোগ, গাড়ির আর্ন্তজাতিক মানের ক্র্যাশ টেস্ট বিধি চালু করবে কেন্দ্র

প্রতি বছর ভারতে গড়ে পাঁচ লক্ষ পথ দুর্ঘটনায় এক লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান৷ দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষতি জিডিপির ৩.১ শতাংশের সমান। আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি দুর্ঘটনায় হতাহতের ক্ষতি অপূরণীয়। ২০২৫-এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে গতকাল একগুচ্ছ নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)৷ এই প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত ‘ক্র্যাশ টেস্ট’ বিধি নিয়ে আলোচনা রইল।

Bharat New Car Assesment Programme (NCAP)

গাড়ি কিছুতে ধাক্কা মারলে সেই আঘাত সহ্য করে যাত্রী বা চালককে রক্ষা করার ক্ষমতা কতখানি, তা বুঝতে ক্রাশ টেস্ট বিধির চল অনেকদিন ধরেই। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় এনসিএপি (European NCAP) এবং গ্লোবাল এনসিএপি (Global NCAP)-এর নাম আমরা শুনেছি। সেখানে নতুন গাড়ি কতটা সুরক্ষিত এবং টিকে থাকার ক্ষমতা বিচার করে এক থেকে পাঁচ (স্টার) রেটিং দেওয়া হয়।

দেশে ক্রাশ টেস্ট বিধি থাকলেও, তা মান্ধাতার আমলে বলে মত গডকড়ীর। এর ফলে নতুন গাড়ি কতটা সুরক্ষিত, সেটা আর্ন্তজাতিক মাপকাঠির ভিত্তিতে বিচার করে রেটিং প্রদান করবে দেশীয় ‘ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম, বা ভারত এনসিএপি (Bharat NCAP)। যদিও এটি কবে থেকে চালু হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি নিতিন গডকড়ী।

উল্লেখ্য, গ্লোবাল এনসিএপি-র বিচারে বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে সুরক্ষিত গাড়ি টাটা পাঞ্চ (Tata Punch)। এটি প্রাপ্তবয়স্কদের সেফটি রেটিংয়ে ফাইভ স্টার এবং শিশুদের সুরক্ষার ভিত্তিতে ফোর স্টার পেয়েছে।